বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(বি.টি.এ) এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শিক্ষক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলার মূল সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে মিলিত হয়। এর আগে সকাল থেকে উপজেলার সকল স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা কর্মসূচীতে অংশ নিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হন।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা শিক্ষক কমিটি সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রঃ শি এর সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষক কমিটি সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. শফিকুল ইসলাম,মোঃ ইয়াকুব আলী, যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল ইসলাম, মহরম হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, দৌলতপুর পাইলট গার্লস স্কুলের সহঃ শিক্ষক আয়েজ উদ্দিন,চিলমারী মাঃ বিঃ প্রঃশিঃ মোঃ ইকবাল হোসেন, পি,এস,এস মাঃ বিঃ প্রঃ শিঃ রাকিবুল ইসলাম , সহঃ শিঃ মাহবুবুর রহমান, আল্লারদর্গা মাঃবিঃ প্রঃশিঃ মোঃ কামরুল হাসান, আইতুননূর আলিম মাদ্রাসার শিঃ আবুল জলিল।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৫ শতাংশ পরিচালিত হয় বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারী দ্বারা। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য বিরাজমান। যা পুরো জাতিকে হতাশ করে। এই বৈষম্য দূর করে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদেরও সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া নৈতিক দাবী। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।
জাতীয়করণের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বক্তারা আরও বলেন, একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। এবার দাবি আদায় না করে আমরা ফিরব না। এছাড়া ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করণ করা এখন সময়ের দাবী। এছাড়া শিক্ষক কর্মচারী নেত্রীবৃন্দের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে ক্লাশ বর্জন করে ৪টা পর্যন্ত স্কুলে থাকার আহবান জানানো হয়।

বার্তাবাজার/রাহা