জমি নিয়ে বিরোধের জেরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার আলমগীর নামের এক ব্যক্তিকে মাটিচাপা দেয়ার এক বছর পর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই বিকেলে আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের পশ্চিম রামদেব গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের মাটি খুড়ে আলমগীরের শরীরের হাড়গোড় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত কঙ্কাল ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কালীগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে যায়।
মৃত আলমগীর কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের সিরাজুল মার্কেট এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমগীরের মায়ের জমি দখল করে ভোগ করে আসছিল তার সৎ ভাই খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। তারই জেরে আলমগীরকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে বিমাতা ভাইয়েরা। সে অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৩ই আগস্ট সন্ধ্যায় তাকে কৌশলে আদিতমারীর পশ্চিম রামদেব গ্রামে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সাত্তারের ভায়রা রাশেদুলসহ রামদেব গ্রামের আশরাফ ও সেকেন্দারের সহযোগিতায় আলমগীরকে কোমলপানীর সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পরে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে জীবত অবস্থাতেই আশরাফ চোর ও সেকেন্দার আলীর বাড়ির পেছনে একটি বাঁশ ঝাড়ে গর্ত করে পুঁতে রাখে। সে সময় আলমগীরের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার কালীগঞ্জ থানায় নিখোঁজের একটি ডায়েরি করেন। এর দুই মাস পর খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার মৃত্যুবরণ করেন।

সম্প্রতি মৃত সাত্তারের ভায়রা রাশেদ ফোন করে আলমগীরের পরিবারকে ঘটনাটি জানালে তারা আদালতে মামলা করা হয়। আদালতের নির্দেশে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ রাশেদুল, আশরাফ ও সেকেন্দারকে আটকের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলমগীরের কঙ্কালসার উদ্ধার করে।

বার্তা বাজার/জে আই