পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন এবারের এসএসসি পরীক্ষা দেয়া ১৬ বছরের এক তরুণী ।

সোমবার (১৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বন্দিভিটা গ্রামের প্রেমিক মাসুদ রানার বাড়িতে অনশনে অবস্থান নেয় ওই তরুণী। খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার আইবুল মেম্বার ঘটনা স্থলে যায়। জানা যায় ওই তরুণী সাথে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় প্রেমিক মাসুদ রানা নানান ভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বাঁধে। প্রায় ৩ বছর ধরে মাসুদ রানার বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন সময় ওই তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, বিয়ের আস্বাসে মাসুদ রানা দীর্ঘদিন ধরে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। আমরা স্বামী- স্ত্রীর মতো থেকেছি। আমার পরিবার আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য কথা বলতেছিলো। আমি বিষয় টা মাসুদ রানাকে বললে মাসুদ রানা আমাকে বাড়ী থেকে বের হয়ে আসতে বলেন। তার কথার ভিত্তিতে বাড়ী থেকে বের হয়ে তার বাড়িতে অবস্থান আমি নিয়ে থাকি। হঠাৎ করে মাসুদ রানা আমাদের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে মাসুদের বাড়িতে এসেছি। এখন মাসুদ যদি বিয়ে না করে তাহলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

প্রেমিক মাসুদ রানা নসিদুল হকের ছেলে। প্রেমিকার বাড়ি একই ইউনিয়নের আব্দুল হালিমের মেয়ে। এই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহে মাসুদের বড় ভাই মামুন ও প্রতিবেশি এক বখাটে ছেলে গণমাধ্যমকর্মীর উপর চড়াও হোন জানা গেছে।

প্রেমিকা জানান, তিন বছর ধরে মাসুদ রানার সঙ্গে তার (প্রেমিকার) প্রেমের সম্পর্ক হয়ে আসছে। প্রেমিক যখই ডাক দিতেন প্রেমিকা তখনই সাড়া দিতে বাধ্য হতেন। মাসুদ তাকে (প্রেমিকাকে) বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। মাসুদ রানার কথা না শুনলে ব্লাকমেইলের ভয় দেখাতেন। প্রেমিকা আরও জানান, ‘আমি তাকে সব কিছু দিয়েছি আমার তার সঙ্গে বিয়ে না হলে কে আমাকে বিয়ে করবে। ইউনিয়নের প্রায় অনেকেই আমাদের সম্পর্কের বিষয় জানে। শিলাইকুঠি বাজারে সে (প্রেমিক) আমাকে বউয়ের মতো ওপেন সিক্রেটে চড় মারলেও আমি কোনো কিছুই বলিনি। আমি তাকেই বিয়ে করবো এবং এই বাড়িতেই থাকবো।

এ ব্যাপারে প্রেমিকের পিতা নসিদুল হক কোন কথা বলতে নারাজ। মেয়ের পিতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে বসা হলে আপনি কি করবেন এমন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, আমার মেয়ে ছেলের বাড়িতে গেছে, সে সেখানেই থাকবেন। আমি তাকে কেন নিয়ে আসবো।

ইউপি সদস্য আইবুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোন সুরাহা করা যায় কিনা চেষ্টায় আছেন।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি কেউ অবগত করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তাবাজার/রাহা