প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে বিভিন্ন জেলায় রিমান্ডে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় দায়ের করা মামলা শুধু রাজশাহীর আদালতে বিচার করারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৬ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, তৌফিক ইনাম টিপু, কে আর খান পাঠান সায়ের, উজ্জল হোসেন, মো: মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সারা দেশে করা মামলার বিচার রাজশাহীতে হবে। এছাড়া পরে তাকে এ সংক্রান্ত মামলায় রিমান্ডে নেয়া যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সারাদেশে চলমান আন্দোলনকে বেগমান করার জন্য গত ১৯ মে রাজশাহীতে বিএনপির উদ্যোগে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জনসভায় আমাদের ভাষায় তিনি একটি মেঠ বক্তব্য দিয়েছেন।
এর আগে গত ১০ জুলাই বিভিন্ন জেলায় প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় আবু সাঈদ চাঁদের রিমান্ড বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়ে। একইসাথে রিটে একই অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ বন্ধ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবু সাঈদ চাঁদের মেয়ে শিরিন আক্তার এ রিট করেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষণপূর্বক বিভিন্ন জেলায় একই ঘটনায় করা মামলায় রিমান্ড বন্ধ চেয়ে এবং বিভিন্ন জেলায় আদালতে হাজির না করে সংশ্লিষ্ট মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। যেকোনো এক জেলার মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। চাঁদের বিরুদ্ধে মোট ২০ জেলায় মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেন বলে অভিযোগ উঠে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তার শাস্তির দাবিতে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
গত ২৫ মে বেলা ১১টার দিকে নগরীর ভেড়িপাড়া মোড় থেকে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।