দেবীদ্বার পৌর নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন মেয়র প্রার্থীরা। এবার দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। আগামী ১৭ জুলাই দেবীদ্বার পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ১৮জন ও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে।

এদিকে দেবীদ্বারে এমপিসহ নৌকার প্রার্থী এবং ওসির বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ৫ মেয়র প্রার্থী।

তাঁদের বিরুদ্ধে হুমকি, হয়রানি এবং নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছেন তাঁরা।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পাঁচ মেয়র প্রার্থী। অভিযোগকারী মেয়র প্রার্থীরা হলেন এম এ কাইয়ুম ভূঁইয়া (ক্যারম বোর্ড), মো. আবুল কাশেম (নারকেলগাছ), শাহজাহান মোল্লা (ইস্ত্রি), এ বি এম আতিকুর রহমান বাসার (মোবাইল ফোন) ও শরিফুল ইসলাম সুমন (চামচ)।

এ ছাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ কাইয়ুম ভূঁইয়া।

লিখিত অভিযোগে তাঁরা বলেন, দেবীদ্বার থানা-পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তারা রাতের আঁধারে অভিযানের নামে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাদের এমন ভূমিকা অব্যাহত থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত হবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ কাইয়ুম ভূঁইয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল তাঁর বনকুট বাড়িতে আমার কর্মীদের ডেকে নিয়ে আমার পক্ষে কাজ না করতে চাপ প্রয়োগ করেছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

কাইয়ুম বলেন,‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে ৫০টির বেশি নির্বাচনী কার্যালয় বানিয়েছেন। তিনি নির্বাচনী এলাকার বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের প্রচারণায় বাধা ও হামলা করছেন। বারেরায় নির্বাচনী গণসংযোগ করতে গেলে নৌকার প্রার্থীর বহিরাগত কর্মী-সমর্থকেরা আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। প্রাণ বাঁচাতে আমাকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়, না হলে তারা আমাকে মেরে ফেলত। এ সময় আমার তিন কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। গত মঙ্গলবার রাতেও আমার দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন আমাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিচ্ছে।’

এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সামীম শুক্রবার বিকেলে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ সঠিক নয়। একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। তাদের সেই উদ্দেশ্যে সফল হবে না।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহ্ম্মদ মঞ্জুর আলম বলেন, তাদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি পৌর নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণায় মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অংশ নিতে পারবেন না। দেবীদ্বারে এই সব পদমর্যাদার ব্যক্তিদের এই নির্দেশনা মানার জন্য ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বার্তাবাজার/রাহা