প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একক পয়ঃশোধন কেন্দ্রের (এসটিপি) উদ্বোধন করবেন। নগরীর খিলগাঁওয়ে অবস্থিত এই পয়ঃশোধন কেন্দ্র দিনে ৫০ মিলিয়ন পয়ঃশোধন করতে সক্ষম। যেটি ঢাকার আশপাশের নদীগুলোকে দূষণ থেকে রক্ষা করবে।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। দেশে এটাই প্রথম এ ধরনের প্ল্যান্ট। প্ল্যান্টটি দিনে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার ক্ষমতা আছে। যা রাজধানীর মোট পয়ঃশোধনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।’

২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার শতভাগ পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী পাগলা, উত্তরা, রায়েরবাজার ও মিরপুর এলাকায় একটি করে আরও চারটি পয়ঃশোধন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘নর্দমা থেকে পরিশোধিত পানি বালু নদীর পানিতে পড়ছে- যা নদীর পানির গুণগতমান বাড়ানোর পাশাপাশি পানি সুপেয় করে তোলে।’

পাগলা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং রায়েরবাজারের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে।

দাশেরকান্দি শোধানাগার প্ল্যান্ট- যা খিলগাঁও থানার অন্তর্গত, আফতাবনগর সংলগ্ন এবং গুলশান (একাংশ), বনানী, তেজগাঁও, নিকেটন, মগবাজার, মালিবাহ, আফতাবনগর, বাড্ডা, কলাবাগান, পান্থপথ, ধানমন্ডি (একাংশ) ও হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার পয়ঃশোধনের ব্যবস্থা করবে।

প্ল্যান্টটি ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিতের মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্য-৬ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার আওতায় আনার পথপ্রদর্শক।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢাকা ওয়াসা তাদের কার্যক্রমের ৭০ শতাংশ ডিজিটালাইজড করেছে।’