রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে জুলাই (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দিনের শুরুতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এরপর সারাদিন অফিসের কার্যক্রম শেষে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপাচার্যের কার্যালয়ে এসে উপাচার্য মহোদয়কে শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপাচার্য তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং সবার পরিবার ও স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণায় নানামূখী উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের পছন্দ তালিকায় শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এই সবই সম্ভব হয়েছে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে। তিনি বলেন, ছাত্র-শিক্ষকের যে সম্পর্ক, তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিণত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্মাণ করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আর সেই কাজটি সহজ করার জন্য আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্টাফ হিসেবে কাজ করছি তাদের একটি বড়ো ভূমিকা আছে।

উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন, আমরা আমাদের ছাত্র শিক্ষকের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই যাতে তারা রবীন্দ্র বিশ্বিবদ্যালয়কে শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণায় ও ইনোভেশন-এর উর্বর ভূমি হিসেবে পরিণত করতে পারে ও সৃজনশীল একটি পরিবেশে তারা যেন পাঠদান অব্যাহত রাখতে পারে। সেই কাজটি করার জন্য আমাদের যেমন আইনগত কিছু দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি কিছু প্রথাগত কর্তব্যও বিদ্যমান। উপাচার্য মহোদয় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, যার উপর যে দায়িত্ব রয়েছে সেটি সঠিকভাবে সঠিক সময়ে পালন করবেন এবং সেবামূলক মনোভাব নিয়ে শুদ্ধাচার চর্চা করবেন। আপনারা অফিস সময়সূচি মেনে চলবেন, যেমন করে পূর্বে আপনারা কাজ করেছেন, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি সামনের দিকে যাচ্ছে।

আমার বিশ্বাস আপনারা যদি আন্তরিক হন এবং প্রত্যেকে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন তা অব্যাহত রাখলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অচিরেই তার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি, তা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির যে বিভিন্ন ধারা আছে সেগুলো চর্চা করা ও সেগুলোকে টিকিয়ে রাখা এবং শিক্ষা ও গবেষণার অধুনিক ধারা চর্চার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে বলীয়ান প্রজন্ম সৃষ্টি করা।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মুখরিত হয়ে উঠবে অর্থাৎ ওইদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে।

বার্তাবাজার/রাহা