কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফারুক মোল্লা ও আবু আহম্মেদ মোল্লা নামের প্রবাসী দুই ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ বিকেল মোহাম্মদপুর ইউপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানাযায়, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শায়েস্তানগর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে ফারুক মোল্লা ও আবু আহম্মেদ মোল্লা জীবিকার তাগিদে প্রায় ২০বছর যাবৎ প্রবাসে থাকেন। ১৫ বছর আগে একই গ্রামের শরীফ ভূইয়া ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৬৫ শতক জায়গা সাবকবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন। প্রবাসে থাকার সুযোগে ক্রয়কৃত জায়গার আংশিক দখল করে রেখেছেন শরীফ ভূইয়া এমন অভিযোগে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ দরবার হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারুক মোল্লা বলেন, আমার কষ্টের টাকায় ক্রয়কৃত জায়গাটি বুঝাইয়া দেয়ার জন্য শরীফকে বলি। সে বলে দশলাখ টাকা দিলে জায়গা বুঝাইয়া দিব। পরে বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত আবেদন করি। চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত মাসের ২৫ তারিখে এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা উভয় পক্ষের তিনজন সার্ভেয়ার(আমিন) দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেদেন। এ সিদ্ধান্ত না মেনে শরীফ তার মেয়েকে দিয়ে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে আমাদের দুই ভাইয়ের নামে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করেন।

শায়েস্তানগর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য টিপু মেম্বার ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মফিজ ভূইয়া বলেন, ফারুক মোল্লা ও আবু আহম্মেদ মোল্লা দীর্ঘদিন বিদেশে থাকেন। ছুটিতে মাঝে মাঝে দেশে আসে, একই গ্রামের শরীফ ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জায়গার আংশিক দখল বুঝিয়া না পাওয়ায় এলাকার লোকজনকে নিয়ে সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। শরীফ না মেনে আদালতে গিয়ে মেয়েকে দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করেছে। এটি হয়রানী করার উদ্দেশ্যেই মামলাটি করেছে। আর শরীফের পরিবারটি আরো বিভিন্ন লোকের নামে মামলা দিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে আপোষ হওয়ার নজির রয়েছে এলাকায়।

মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল মিয় জানান, এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে সরেজমিনে আমি উপস্থিত থেকে জয়াগাটি সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারন করে দিয়েছি। উপস্থিত সকলের সামনে শরীফ আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। পরে শুনি সে তার মেয়েকে দিয়ে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করিয়েছেন। বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

অন্যদিকে শরীফ ভূইয়া অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ১৫ বছর আগে জায়গা বিক্রী করার সাথে সাথেই তাদেরকে দখল বুঝাইয়া দিয়েছি। আর আমার মেয়ের সাথে তারা কি করেছে আমি বলতে পারব না। মামলাটি আমার মেয়ে করেছে। মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

বার্তাবাজার/রাহা