রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় স্ত্রীর এক বান্ধবীকে ধর্ষণের ঘটনায় স্বামীকে আটক করা হয়েছে। একইদিনে ৩ শিশুকে কাঁঠাল খাওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে চার সন্তানের এক জনককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৃথক দুটি ঘটনায় মামলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৫ জুলাই) উপজেলার দূর্গাপুর ও বড়বালা ইউনিয়নে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিতলগাড়ী গ্রামের নুর আলমের ছেলে শাকিল মিয়া (২০) পেশায় গাড়ির শ্রমিক। তিনি এক বছর আগে রংপুরের লালবাগ এলাকার সাথী আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঈদ উপলক্ষে শাকিলের স্ত্রী সাথী আক্তার গত সোমবার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে স্বামীর বাড়ি আসার সময় ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার এক বান্ধবী সাথে আসেন। সেই ছাত্রীর বুধবার সকালে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে শাকিল তার স্ত্রীর বান্ধবীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

গত বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে রংপুর থেকে ওই ছাত্রীর মা এসে বিষয়টি মিঠাপুকুর থানায় জানায়। বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে শাকিলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধর্ষক শাকিলকে ধর্ষণ মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

অপরদিকে, মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নে ৩ জন শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ৪ সন্তানের এক জনকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জাবেদ আলী (৫৫) উপজেলার ১১ নং বড়বালা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা গ্রামের জুম্মা পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত জাবেদ আলীর উঠোনে ৩ জন শিশু একসাথে খেলাধুলা করছিল। নির্যাতনের শিকার শিশুরা প্লে, নার্সারী ও ২য় শ্রেণির ছাত্রী। তাদেরকে সুযোগ বুঝে জাবেদ আলী কাঠাল খাওয়ার কথা বলে তার বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর সুযোগ বুঝে ওই শিশুদের ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে অপকর্ম করার চেষ্টা চালায়। হঠাৎ বৃষ্টি আসলে মেয়েদের খোঁজাখুজি করতে থাকে তাদের অভিভাবকরা। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন জাবেদ আলীর উঠোনে শিশুরা খেলধুলা করছিল জানতে পেরে সেখানে যায় এক শিশুর বাবা।

তিনি গিয়ে দেখতে পান শিশুরা সেখানেও নেই এবং জাবেদ আলীর ঘরের দরজা জানালা বন্ধ। কিন্তু তার দরজার সামনে শিশুদের জুতা দেখতে পেয়ে ওই শিশুর বাবার সন্দেহ হলে তিনি দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে জাবেদ আলী ও শিশুদের অপ্রিতিকর অবস্থায় দেখতে পান। এরপর একে একে গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানাজানি হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত জাবেদ আলীকে আটক করে নিয়ে আসে।

বার্তাবাজার/রাহা