বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল খানকে কুপিয়ে ‘পা’ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় আসামি ছাত্রলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলামকে চারমাস পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ছাত্রলীগ নেতা রফিকুলের নিজ এলাকা ‘বাকাপুল’ নামক স্থান থেকে বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা রফিককে গ্রেফতার করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সহসভাপতি রফিকুল ও তার সমর্থকরা যুবলীগ নেতা টুটুল খানের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে টুটুলের একটি পা ও একটি হাতের বেশ কয়েকটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে। হামলার সময় টুটুল একাই ছিলেন, আর রফিকুলের সঙ্গে ছিল ৮-১০ জন। এ ঘটনায় মামলা হলেও প্রায় চারমাস যাবৎ অভিযুক্ত রফিকুলকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পরে মামলাটি বরগুনা ডিবির কাছে হস্তান্তর হলে বুধবার গ্রেফতার হয় ওই ছাত্রলীগ নেতা রফিক।

যুবলীগ নেতা টুটুল খান বলেন, আমার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে তাও প্রায় চারমাস। এতদিনে বেতাগী থানা পুলিশ সন্ত্রাসী রফিককে গ্রেফতার করেনি। তবে মামলাটি ডিবির হাতে যাওয়ার পর কিছুটা তদারকি হয়েছে, তাই হয়তো রফিক গ্রেফতার হয়েছে।

বেতাগী থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা টুটুল খানকে কোপানোর মামলায় রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ রফিকুল হাইকোর্টের জামিনে ছিলেন। এছাড়াও রফিকুলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর রফিকুলকে বরগুনা ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই