পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিএসএফের গুলিতে সুজন আলী (২৭) নামে এক ব্যক্তি আহত হন, পরে বাংলাদেশি ওই যুবকের রংপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।
এলাকার সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে কয়েক জন যুবক গরু পাচারের উদ্দেশ্যে রাতের আঁধারে ভারতে ঢোকার চেষ্টাকালে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সুকানী বিওপির বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত এলাকায় সুজন আলী গুলিবিদ্ধ হয়।
মৃত বরণকারী সুজন আলী তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত আনারুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তিনি দীর্ঘদিন থেকে গরু পাচারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোলেমান আলী জানান, তিনি দীর্ঘদিন গরু পাচারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত-রাত স্থানীয় এক মেম্বার জানান তিনি এক্সিডেন্টে করেছেন। পরে জানতে পারি তিনি মৃত্যু বরন করেছেন। আমি সরেজমিনে গিয়ে তার পেটের মধ্যে গুলিবিদ্ধ। পুরো ধারণা করা হচ্ছে তিনি গরু পাচার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ থাকার পাশাপাশি ভারতে কয়েকজন আটক রয়েছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু বরনকারী সুজনের পরিবার বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু বরন করেন তা অস্বীকার করেন।
আজ বৃহস্পতিবার তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, মৃত ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের বিষয়টি জানতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫৬ ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করা হলেও তারা জানান, কিভাবে ঘটনা ঘটেছে তা আমাদের অজানা।
বার্তাবাজার/রাহা
