ঢাকার সাভারে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাদাইল বাজার ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা: হুদা ডেঙ্গু প্রতিরোধ, করোনা সতর্কতা এবং এন্টিবায়োটিক এর ‘মিস-ইউজ’ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
ডা: সায়েমুল হুদা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তাঁর আন্তরিকতা ও বিচক্ষণতায় সারাদেশে স্বাস্থ্য সেবা এগিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সকল ধরনের স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে সাভারবাসী। পাশাপাশি করোনা মোকাবেলা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ সহ যেকোনো মহামারি মোকাবেলায় সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’।
তিনি আরও বলেন, ‘নেগেটিভ চিন্তা করতে হবে বিষয়টি এমন নয়,সময় এসেছে সঠিক কাউন্সিল করে স্বাস্থ্য সেবার সাথে যারা সম্পৃক্ত সবাইকে পজিটিভ মন নিয়ে কাজ করবার সুযোগ করে দেওয়া। আমাদের সাভার উপজেলায় ৮ হাজারের অধিক ফার্মেসি রয়েছে। রয়েছে হাজার হাজার পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট। এই বিশাল জনবলের ৯০ পারসেন্ট নামের পূর্বে ডাঃ লিখতেন। আমরা তাদের সংগঠনের নেতাদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় করে দফায় দফায় সভা-সেমিনার করেছি, অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমরা সক্ষম হয়েছি বুঝাতে কার কাজ কি হবে।
এসময় ডা: হুদা প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ধরনের এন্টিবায়োটিক বিক্রি না করার জন্য সকল ফার্মাসিস্ট ও ঔষধ ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আজ হলফ করে বলতে পারি সাভার উপজেলায় প্রায় শতভাগ পল্লী চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট নামের পূর্বে ডা: লিখেন না। তেমনিভাবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি বিএমডিসির অনুমোদন আছে এমন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা নিষেধ। তারা এবং তাদের নেতারা এবিষয়টি মানার কথা দিয়েছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে একদিনে আমরা সবকিছু ঠিক করতে পারবো না। মানুষকে মোটিভেট করে জনকল্যাণে যে সফলতা পাওয়া যায় তা জেল, জরিমানা করেও পাওয়া কঠিন।
অনুষ্ঠানে এসময় ভাদাইল বাজার ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বার্তাবাজার/এম আই
