আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর থেকে ভৌগলিকভাবে নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চারটি ইউনিয়নের ২০টি দুর্গম কেন্দ্রের ব্যালট বক্স, নির্বাচনী সরঞ্জামসহ একদিন আগেই ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে।

আজ (শনিবার) দুপুরে ওইসব কেন্দ্রের ব্যালট বক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কেন্দ্রে পৌছানো হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় স্বচ্ছ ব্যালট পেপার কন্ট্রোলিং অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের হেফাজতে থাকবে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান।

নির্বাচনী সরঞ্জাম আজ কেন্দ্রে গেলেও ব্যালট পেপার যাবে না। কাল (রোববার) সকালে ভোট কেন্দ্রে যাবে ব্যালট পেপার। এরআগে প্রশাসনের কঠোর প্রহরায় নির্ধারিত তিন ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হবে ব্যালট পেপার।

প্রশাসন জানায়, কন্ট্রোলিং অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় দুর্গম চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার থাকবে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদে, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার থাকবে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে, বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৫টি এবং মৌডুবি ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার থাকবে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে।

এছাড়া উপজেলার মোট ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউনিয়ন ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের বাকি ১৬টি কেন্দ্রের নির্বাচনী সরঞ্জাম আজ কেন্দ্রে গেলেও ব্যালট পেপার যাবে কাল সকালেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, সকল কেন্দ্রের ব্যালট পেপার কাল (রোববার) সকালে কেন্দ্রে যাবে। এর আগে আজ (শনিবার) ব্যালট বক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম প্রিজাইডিং কর্মকর্তার মাধ্যমে ৬টি ইউনিয়নের ৩৬টি কেন্দ্রের পৌছানো হচ্ছে। তবে দুর্গম চারটি ইউনিয়নের ২০ কেন্দ্রের ব্যালট পেপার কন্ট্রোলিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় তিন ইউনিয়ন পরিষদে থাকবে।

বার্তাবাজার/এম আই