আগেই জানা ছিল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোনো যোগাযোগ বা কর্মসূচি রাখা হয়নি। তবুও সোমবার বিকেলে বিমানবন্দরে মার্টিনেজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু আন্তরিকতা ও যোগাযোগের অভাবে দুজনের সাক্ষাৎ হয়নি।

মার্টিনেজকে বাংলাদেশে উড়িয়ে এনেছে ফান্ডেড নেক্সট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আইটি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিজেদের অফিসে একান্ত অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানায়। এছাড়া ফান্ডেড নেক্সট অফিসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বাদে কারও সঙ্গেই মার্টিনেজের সাক্ষাৎ হয়নি।

ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান মার্টিনেজ। সেখানে ঘণ্টাখানেক সময় দেওয়ার পর চলে যান বিমানবন্দরে। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ছিল তার কলকাতার ফ্লাইট।

প্রায় কাছাকাছি সময়ে ভারত থেকে সাফ ফুটবল খেলে ফিরে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। মার্টিনেজের ফিরে যাওয়ার খবর শুনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নিজের আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত সেরে যান বর্হিগমন বিভাগে। ভিভিআইপি পথে মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।

দূর থেকে দেখেও ছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারকে। কিন্তু সেখানকার নিরাপত্তা ও মার্টিনেজের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাবে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। তাতে কিছুটা মন খারাপ করেছেন জামাল।