ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে খামারিরা যেমন শঙ্কায় আছেন, তেমনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ক্রেতারাও। তবে ওষুধের দাম ও গো-খাদ্যের অতিরিক্ত দামের কারণে প্রস্তুতকৃত পশুর প্রত্যাশিত দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা।

এদিকে কুরবানির পশুর দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সংকটে পড়বেন মধ্যবিত্ত কুরবানিরদাতারাও। সবমিলে চলতি বছরের কোরবানির পশু প্রস্তুতকারী খামারি ও কুরবানি দিতে আগ্রহী ব্যক্তিরা কেউ-ই স্বস্তিতে নেই।

শেরপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শেরপুর উপজেলায় ৬ হাজার ৩৭ জন খামারি রয়েছে। আর এদের মাধ্যমে ৭০ হাজার ১৬২টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ষাড় ৩০ হাজার ২৪০, মহিষ ১১৪, ছাগল ৩৬ হাজার ৬৭৩, ভেড়া ৩ হাজার ১৩২। গত বছর প্রায় ৪৪ হাজার পশু কোরবানি হলেও এবার প্রায় ৫৮ হাজার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ১১ থেকে ১২ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

উপজেলার ভীমজানি গ্রামের খামারী আমজাদ হোসেন জানান, আমার খামারে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। আমি খামারের গরুগুলোকে সুষম খাবারের মাধ্যমে মোটাতাজা করেছি। কোন রকম ইনজেকশন বা ফিড খাওয়াইনি। সুষম খাবারগুলোর মধ্যে ভূষি, ভুট্টা, গম, বুট, কালোজিরার মিক্সার পাউডার এবং ধানের কুড়া, ঘাস, খড় খাবার হিসেবে দিয়েছি।

তিনি আরোও বলেন, গরুকে যদি সুষম খাবার দেয়া হয় এবং গরু যদি সুস্থ থাকে তাহলে কোন ইনজেকশন বা ফিড খাওয়ার দরকার পড়ে না মোটাতাজা করণের জন্য। গরুর সঠিক পরিচর্যা এবং সুষম খাবার দিলে গরু আপনা আপনি বেড়ে ওঠে। আমি গরুগুলো খামার থেকেই বিক্রি করতে চাই। তবে খামারে যদি বিক্রি না হয় তবে উপজেলার বিভিন্ন হাটে উঠাবো।

শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ রায়হান পিএএ জানান, এ বছর কুরবানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫৭ হাজার ৯২২ টি পশু। তবে খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার প্রায় ৭০ হাজার ১৬২টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এতে প্রায় ১২ হাজার ২৪০টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এই সব পশু বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ৩শ ৬৫ কোটি টাকা লেনদেন হবে।

এছাড়াও কুরবানী পশুর সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলার ছোট বড় সকল হাটে প্রাণিসম্পদ অফিসের ১১টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষন করছেন।

বার্তাবাজার/রাহা