আগামী ১৮ জুন ২০২৩ তারিখ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ঢাকার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা।

বুধবার (১৪ জুন) বেলা এগারোটায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাজহারুল ইসলাম।

এর আগে, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইকো কার্ডিওগ্রাফি কক্ষের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মঞ্জুরুল আলম রাজীব। এসময় সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কার্ডিওগ্রাফি হলো একটি পরীক্ষা যা শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে গতিশীল হৃৎপিণ্ডের লাইভ চিত্র তৈরি করে। প্রাপ্ত ছবিটি ইকোকার্ডিওগ্রাম (ইকো) নামে পরিচিত। ইকোকার্ডিওগ্রাফি ডাক্তারকে হৃৎপিণ্ড এবং ভালভগুলি কীভাবে কাজ করছে তা নিরীক্ষণ করতে দেয়। পদ্ধতিটি অ-আক্রমণকারী, কোন বিকিরণ ব্যবহার করে না এবং সাধারণত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় আগামী ১৮ জুন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে যাতে সাভার উপজেলার ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত সকল শিশুরা ভিটামিন এ ক্যস্পসুল গ্রহন করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। সাভারের মোট ১৯২টি কেন্দ্রের আওতায় উক্ত বয়সসীমার শিশুরা যাতে এই ক্যাপসুল গ্রহন করতে আসে, সেব্যাপারে সকল অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার ও আহবান জানানো হয়।

বার্তা বাজারকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা জানান, আগামী ১৮ জুন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সাভারে আমাদের মোট ১৯২টি কেন্দ্র থাকবে। আমরা ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী মোট ২৬ হাজার ৩৫০ জন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী মোট ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৩৪ জন শিশু সহ সর্বমোট ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছি। এর ভিতরে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল সেবন করানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখে, ফলে শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়। এজন্য সকল সাভারবাসীর প্রতি অনুরোধ, আপনারা উক্ত বয়সীমার শিশুদের আগামী ১৮ জুন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সেবন করাতে নিয়ে আসবেন।

এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় এসময় সাভার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, সাভার মডেল থানার প্রতিনিধি সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কনসালটেন্ট সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এম আই