দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ চিপ নির্মাতারা একদিকে যেমন মার্কিন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল অপরদিকে দেশটির উৎপাদিত মোট চিপের শতকরা ৪০ শতাংশ চীনে রপ্তানি হয়।
প্রযুক্তি সেক্টরে চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টানটান উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশের চিপ শিল্পের জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুই প্রযুক্তি পরাশক্তির মধ্যে এই দ্বৈরথকে তিনি ‘সোজাসাপ্টা যুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করেন বলে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত উপাত্ত বলছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ও এসকে হাইনিক্স এর মতো শীর্ষ চিপ নির্মাতারা একদিকে যেমন মার্কিন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল অপরদিকে দেশটির উৎপাদিত মোট চিপের শতকরা ৪০ শতাংশ চীনে রপ্তানি হয়। এ অবস্থায় মেমোরি চিপ ইন্ডাস্ট্রিতে দেশটির আধিপত্য বজায় রাখা, সেমিকন্ডাকটর শিল্পে উন্নয়ন এবং কাঁচামাল, শ্রমশক্তি ও সরঞ্জামাদি সুরক্ষিত রাখতে দিনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ইয়ুন বৈঠক করেন চিপ সেক্টর সংশ্লিষ্ট ৬০ জন নেতা, আইনপ্রণেতা ও মন্ত্রীর সঙ্গে।
“ভূরাজনৈতিক সংকট কোম্পানিগুলোর নিরাপদ ব্যবসায়িক পরিবেশ বজায় রাখার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। কোম্পানিগুলোর পক্ষে একা এই সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব নয় – তাই আমাদের জাতীয় পর্যায়ে সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা এবং নিবিড় যোগাযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে – যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।” – বৈঠকে বলেন প্রধানমন্ত্রী ইয়ুন।
চিপ খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন বৃদ্ধি, ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের শক্তিবৃদ্ধি, চিপ খাতে আইনি সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং চিপ পরীক্ষা কারার সুযোগ বাড়াতে দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সরকারের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছে। চিপ ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বিবাদে নিজেদের না জড়ানোর উপায় খুঁজছে দক্ষিণ কোরিয়া, প্রতিবেদনে বলেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
গত অক্টোবরে ওয়াশিংটন চীনে চিপ রপ্তানিতে প্রযুক্তিগত সীমার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও স্যামসাং ও এসকে হাইনিক্সকে এক বছরের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেয়। যাদের সেখানে বাণিজ্যিক উৎপাদনের কারখানা অবস্থিত তারা লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করেই সেখানে যন্ত্রাংশ আমাদানি করতে পারবে। এখন এই অব্যাহতি পরবর্তী মেয়াদে বৃদ্ধি করা হবে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।
ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার