বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনটি ৭৫ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করে নিলামে বিক্রি হয়েছে ৮৬ হাজার ৫০০ টাকায়। যা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্রয় করে ওই দিনই প্রায় চার গুণ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এভাবে সরকারি ভবন নামমাত্র দামে বিক্রি করায় সিন্ডিকেটকারীদের অগ্রগতি হচ্ছে আর সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কাঙ্খিত রাজস্ব থেকে।
এদিকে বহুল প্রচার ও প্রসাারের জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তিটি কোনো পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজ্ঞাপন টাঙানোর কথা থাকলেও তা টাঙানো হয়নি। এমনকি উপজেলা শহরের কোথাও মাইকিং করে প্রচার করাও হয়নি।
বুধবার (৭ জুন) দুপুর ২টায় শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা, উপজেলা প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রিপা পারভিন উপস্থিত ছিলেন।
পুরাতন স্থাপনা ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসায়ী মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, দরপত্র আহবানের বিষয়ে আমাদের কেউ জানায়নি। এর আগে শুনেছি ভবনটি নিলাম হবে। তবে কোনো প্রচার প্রচারণা দেখতে বা শুনতে পারিনি। জানতে পারলে অবশ্যই অংশ নিতাম।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রিপা পারভিন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, উপজেলা প্রকৌশলী বলতে পারবেন।
শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন জানান, কোনো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি তবে ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০০ টাকা দরে ৬৪ টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে। জমা পরেছে ৪টি। সর্বোচ্চ দরদাতা বগুড়ার মেসার্স বুলবুল টেডার্সের কাছে ৮৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বার্তা বাজার/জে আই