৫ই জুন সারা দেশে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করাহলেও কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিকল্পিত ভাবে পরিবেশ দূষনের কারনে ভিটেবাড়ী বিক্রি করে এলাকা ছাড়ার উপক্রম হয়েছে এক প্রবাসী পরিবারের।
প্রবাসীর বাড়ীর চারপাশে ময়লা আবর্জনা গরুর মলমূত্র ফেলে পরিবেশ দূষনের মাধ্যমে প্রবাসী পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখন বসতভিটা ও শিশুদের প্রাণ বাচাঁতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি নবীপুর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে সৌদিআবর প্রবাসী আবুল হাসান মিয়া। উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার এই প্রবাসী পরিবারটির শিশু বৃদ্ধসহ ১৮জন সদস্য এবং আশেপাশের কয়েকটি পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ দূষিত পরিবেশে এক প্রকার বন্দি ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
প্রবাসী হাসান মিয়া বলেন, আমি দেশে আসার পর দেখতে পাই আমাদের বাড়ীর সামনের সরকারী খালটি এলাকার প্রভাবশালী চক্রের সদস্যরা ভরাট করে দখল করে নিয়েছে। আমাদের বাড়ীর পশ্চিমপাশে মৃত কালা মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া খাল ভরাট করে এরপাশে একটি গরুর খামার তৈরী করেছে। এই খামার থেকে গরুর মলমূত্র, ল্যাট্রিনের ময়লা, বাড়ী ঘরের আবর্জনা, প্লাষ্টিক বোতল পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বাড়ীর চারপাশে ফেলে পরিবেশকে মারাত্তক ভাবে দূষিত করেছে। মলমূত্রের নোংরা পানি আমাদের বাড়ীতে ঢুকে পড়ছে। আমরা খাবারটুকুও স্বস্থিতে খাইতে পারি না। ঘরের দরজা জানালা কিছুই খুলতে পারি না। আমাদের চারপাশে তাকালে মনে হয় আমরা ডাস্টবিনে বসবাস করছি। এখন আমি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিচ্ছি। প্রশাসন যদি আমাদের রক্ষার ব্যবস্থা না করে তাহলে আমরা ভিটেবাড়ী বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
প্রবাসীর ভাতিজি চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারহানা বলেন, আমরা দূর্গন্ধে ঘরে থাকতে পারি না। নাক চেপে বের হতে হয়। আমরা স্কুলে যেতে পারি না। আমরা
এই নোংরা পরিবেশ থেকে মুক্তি চাই। অভিযুক্ত বিল্লাল মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি বাড়ীতে না থাকায় কথা বলা সম্ভর হয়নি। তার স্ত্রী সালমা বেগম পরিবেশ দূষনের বিষয়টি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমরা কিছু দিনের মধ্যে বাড়ীর কাজ শুরু করবো তখন একটি ট্যাংকি তৈরী করে গরুর মলমূত্র সেখানে ফেলবো।
নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নিতে পারেন। যদি চেয়ারম্যান কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাহলে আমরা পদক্ষেপ নিবো।
পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা উপ-পরিচালক মোসাব্বির হোসাইন মোহাম্মদ রাজিব বলেন, এভাবে পরিবেশ দূষন সম্পূর্ন বেআইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্তা বাজার/রাআ