আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হওয়া হারিকেন বেরিল প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে স্থলভাগের দিকে দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে। ইতোমধ্যেই এই ঝড় ক্যাটাগরি-৩ তে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার আটলান্টিক মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয় হারিকেন বেরিল।

শক্তিশালী এই ঝড় ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৭৯ থেকে ২০৯ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের আশঙ্কায় বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইন দ্বীপপুঞ্জ, গ্রানাডা এবং টোবাগোতে ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (NHC) জানিয়েছে, রোববার (৩০ জুন) ভোর রাত থেকে হারিকেন বেরিল ক্যারিবীয় অঞ্চলের উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানতে পারে। এনএইচসি বলছে, ২০২৪ সালের চলতি মৌসুমের প্রথম হারিকেনটি রোববার সকালে বার্বাডোসের প্রায় ৬৭৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।

আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে বেরিল ক্যাটাগরি-৪ হারিকেনে রূপ নিয়ে এটি আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৯ থেকে ২০৯ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলেছে, বেরিলের প্রভাবে এসব দ্বীপে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া বেরিলের আঘাতের সময় ক্যারিবীয় দ্বীপগুলোতে জোয়ারের স্তর স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ থেকে ৯ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে।

হারিকেন বেরিল সবার আগে আঘাত হানতে পারে পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগর লাগোয়া উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে। এরপর ডমিনিকা, মার্টিনিক, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রানাডাইনস ও গ্রানাডার দিকে ধেয়ে যেতে পারে ঝড়টি।