পুরো পঞ্চগড় জেলায় সমতল ভূমিতে চায়ের উৎপাদন বাড়ছে। প্রতি বছরই নতুন নতুন জমি আসছে চাষের আওতায়। দেশের মোট উৎপাদনের ১৭ শতাংশ এখন আসছে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলা থেকে। এই পঞ্চগড় জেলায় সম্ভাবনার পাশাপাশি সংকটও তৈরি হয়েছে এই অর্থকারী ফসল চা চাষে। চাষীদের অভিযোগ কাঁচা চা-পাতার নায্য দাম পাচ্ছে না তারা। একটা সময় চা চাষে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও, এখন চা চাষে হতাশ কৃষকরা। পাচ্ছে না পাতার উপযুক্ত দাম।

এর সুত্র ধরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম খাঁন নামে তার ফেসবুক আইডিতে চা কারখানা মালিকদের উদ্দেশ্যে একটি মন্তব্য পেশ করেন। মন্তব্যে তিনি বলেন, চা কারখানা মালিকদের আহবান করছি। আমাদের চা চাষীদের উৎপাদিত কাঁচা চা পাতার নায্য দাম নিশ্চিত করুন। পাশাপাশি কৃষকদের কাছ থেকে যে পাতা কর্তন করছেন সেটাও বন্ধ করুন। এই কথার ভিত্তিতে অনেক লোকজন অভিনন্দন, শুভ কামনাসহ নানান ধরনের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

পরের দিন চা কারখানা মালিকরা কাঁচা চা পাতার ৫০% কাটে নেয় । পরের দিন উপজেলা চেয়ারম্যান ওনার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে আবারো মন্তব্য পেশ করেন। ফেসবুক আইডিতে লেখেন, গতকাল একটি পোস্ট দিয়ে ছিলাম চা নিয়ে। আমি আহ্বান করেছিলাম, কর্তন যেন কম কাটে। তার বিপরীতে ফ্যাক্টরী গুলো ৪০% থেকে ৫০% কর্তন করে। এই লেখাটি লেখাতে ওনার কমেন্ট অনেকে অনেক ধরনের মন্তব্য পেশ করেন। এই লেখা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আপনাকে সম্মান করেছে। বাদল নামে এক ব্যক্তি ওনার লেখায় কমেন্টে লেখেন, আপনারা না পারলে জনগন কি করতে পারবে। আরেক জন লেখেছেন এটার সমাধান কি? অনেকে কমেন্ট করেছেন এটার ব্যবস্থা এমপি মহোদয়ে নিতে পারবে।