পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতি নিয়ে সংগঠনটির সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের কোনো অর্ডার (আদেশ) করিনি, অনুরোধ করেছি। অনুরোধ রাখা না রাখা সাংবাদিকদের বিষয়।’

আজ সোমবার (১ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে হোলি আর্টিজানে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এলে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে এসেছি যে, ব্যক্তির দায় সংগঠনের বা বাহিনীর না। এই কথাকে আমরা ধারণ করি। কিন্তু পাশাপাশি অতিরঞ্জিত এবং খণ্ডিত তথ্য থাকে। যেমন—আমাদের এক কর্মকর্তার বিষয়ে বলা হয়েছিল, তিনি সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। আসলে তিনি পালিয়ে যাননি। সে কারণে প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি।’

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘প্রতিবাদলিপিতে আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। আপনাদের কোনো অর্ডার (আদেশ) করিনি। শুধু পুলিশ নয়, যে কোনো নিউজ করার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ করেছি। এটি পেশাগতভাবে আসলে যে কেউ করতে পারে। অনুরোধ রাখা না রাখা আপনাদের বিষয়। আমরা শুধু অনুরোধ করেছি।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে ৮ বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলা হয়েছিল। এদিনে পুলিশ দুই পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশি নাগরিকরা নিহত হয়েছিলেন। এরপর আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযানে নামি। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর অভিযানের পাশাপাশি সচেতনতাসহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নানা কৌশল গ্রহণ করি। হলি আর্টিজানের পরপরই শোলাকিয়াতে একটি হামলা হয়। এরপর থেকে জঙ্গিরা ছোট কিংবা বড় কোনো হামলা করতে পারেনি। জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে আগেই অভিযান পরিচালনা করি। ফলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিলো এবং এখনো আছে।

তিনি আরও বলেন, জঙ্গিরা একটি ভুল মতাদর্শ নিয়ে কাজ করে। ফলে এটি দমন করা অনেক লম্বা সময় প্রয়োজন ও জটিল প্রসেস। এই মতাদর্শ এখনো রয়েছে। তাই তারা অনলাইন ও বিচ্ছিন্নভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গোয়েন্দা তথ্য, গবেষণা ও ক্ষেত্র বিশেষে অভিযান পরিচালনা করছে।