এমন দিনে তারে বলা যায় এমন ঘনঘোর বরিষায়- এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরঝরে তপনহীন ঘন তমসায়।। সে কথা শুনিবে না কেহ আর, নিভৃত নির্জন চারি ধার। দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখি, আকাশে জল ঝরে অনিবার- জগতে কেহ যেন নাহি আর।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ,শীতল বাতাস তারপরই মেঘের গর্জন, এবার শুরু বৃষ্টি।কখনো ঝিরিঝিরি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টি যেন আকৃষ্ট করছে ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ত মানুষগুলোকে। বৃষ্টি তার নিজস্ব আঙ্গিকে শান্ত করে রেখেছে পরিবেশকে। কিন্তু উপভোগ করতে থামিয়ে রাখতে পারছে না সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সম্বলিত কলেজ সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। লাল ইটের বাড়িঘর ও বলা যায়।বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসের সুন্দর্য বেড়ে যায় দ্বিগুণ। কেউ ক্লাস রুম থেকে উপভোগ করছে আবার কেউ বৃষ্টিতে ভিজে উপভোগ করছে বৃষ্টির মায়া মূখর পরিবেশকে।কেউ দল বেধে গাইছে গান। বৃষ্টি যেন কাউকে থেমে থাকতে দিচ্ছে না আকৃষ্ট করছে তার প্রতি। বৃষ্টিতে ভিজে ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করছে মূহুর্তগুলো।

চোখ সরিয়ে মুক্তির সনদের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় বৃষ্টিবিলাসি গানের আসর। চা এর আসরের কথা না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যায় বৃষ্টি বিলাস। ক্যাম্পাসের বাইরে চা এর দোকানে ভীর জমে চা প্রেমিদের৷ বৃষ্টিবিলাসে ক্যাম্পাস এর মাধুর্য আরো বেড়ে যায়। এই বৃষ্টি বিলাসে শিক্ষার্থীরা জীবন উপভোগের নতুন অর্থ খুঁজে পায়।