ঢাকার কেরানীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বুধবার সকালে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯ টায় চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ৭টি বুথে ভোট পড়ে মাত্র ৬টি। কেন্দ্রের বাইরে নেতা-কর্মীদের ভিড় থাকলেও ভেতরের চিত্র ছিল অনেকটা ফাঁকা।

চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার নুরুল আমিন বলেন, এই কেন্দ্রটি শুধু নারী ভোটারদের জন্য নির্ধারিত। এই কেন্দ্রের সাতটি বুথে নারী ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৬০৫। তিনি আরও বলেন, সকালথেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে বিধায় ভোটার উপস্থিতি কম। আশা করা যাচ্ছে, দুপুরের মধ্যে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে শাহীন আহমেদ ও কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে আলতাফ হোসেন বিপ্লব চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বেশিরভাগ বুথে কাপ পিরিচের এজেন্ট পাওয়া যায়নি। বুথগুলোতে শুধু একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর এজেন্ট রয়েছেন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বেলা ১২ টায় আগানগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কোন বুথেই আলতাফ হোসেন বিপ্লবের এজেন্ট পাওয়া যায়নি। চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার নুরুল জানান, তাঁর ভোটকেন্দ্রের সাতটি বুথে আনারস প্রতীকের এজেন্ট রয়েছে। কাপ-পিরিচের কোনো এজেন্ট তিনি দেখেননি।

তবে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী আলতাফ হোসেন বিপ্লব অভিযোগ করেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ও জিনজিরার একাংশের ভোটকেন্দ্রগুলো থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে ভেতরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজন এসব করছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (তালা প্রতীক) কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেনও তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার এজেন্টদের কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের বাইরে থেকেই এজেন্টদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, কিছু কিছু প্রার্থী ঢালাওভাবে অভিযোগ করছেন। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহীন আহমেদ বলেন, এসব মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য। ওই প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় জেনে এসব অভিযোগ তুলেছেন।

জানা গেছে, নির্বাচন ঘিরে দুই প্যানেলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। দুই এমপি দুটি প্যানেলকে আলাদা আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলতাফ হোসেন বিপ্লব ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন।অন্যদিকে ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তাঁর সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহীন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দিন লিটন (মাইক), রেশমা জামান (কলস)