পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫ নং কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুস ছালাম মৃধা। জনপ্রিয় এই প্রার্থী ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন সময়ে এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, স্কুল, কলেজ ও দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে জমি কিনে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। এলাকার যুব সমাজের বেকারত্ব দূরিকরণে একটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও এতিম অসহায়ের জন্য হাফেজি মাদ্রাসা গড়ে তোলেন। যেখানে প্রায় দেড়শত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৭ নং ওয়ার্ডের খাঁন বাড়ির দরজায় প্রায় দেড় কিলোমিটার মাটির কাঁচা রাস্তা চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস ছালাম মৃধা তার নিজ অর্থায়নে পাকা করে দেন। কিন্তু তার আগে বৃষ্টির দিনে ঐ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারতো না। এমনটি জানান ঐ এলাকার বাসিন্দা জালাল মুন্সি। এজন্য এবার নির্বাচনে তারা চশমা মার্কার প্রার্থী আব্দুস ছালাম মৃধাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে চান।

এছাড়া এলাকার অনেকেই জানান, কোন লোক যদি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আব্দুস ছালাম মৃধার কাছে যান তবে সে তার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেন সহযোগিতা করার জন্য। ইউনিয়নের এমন কোন গরিব ও অসহায় ব্যক্তি নাই যে ছালাম মৃধার থেকে সহযোগিতা পায়নি। ছালাম মৃধা কমলাপুরের হাতেম তাই। যে সবসময় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন। এমনটিই জানান কমলাপুরের জনগণ।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুস ছালাম মৃধা নির্বাচনী আলাপচারিতায় জানান, দীর্ঘ ৮ বছর পর্যন্ত কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ছিলাম। এলাকার সব ধরনের উন্নয়নে কাজ করেছি। সরকারের দেয়া গরিবদের জন্য কোন বরাদ্দ মেরে খাইনি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নেয়া তো দূরের কথা তাদের সাথে কোন প্রতারণা করিনি। অনেকেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নানান অপকর্ম যেমন সরকারি বরাদ্দ আত্নসাত ও জনগণ থেকে বিভিন্ন জিনিস দেয়ার কথা বলে টাকা পয়সা নিয়েছেন যা আমি কোনদিন করিনি।

তিনি আরো বলেন, যখন চেয়ারম্যান ছিলাম না তখনো ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের বিপদে আপদে তাদের পাশে থেকে সেবা করে আসছি। আশাকরি এবার নির্বাচনে কমলাপুরের জনগণ বিপুল ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে।

উল্লেখ, আগামী ২৮ এপ্রিল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার আটশত।