পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫ নং কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মৃধার নেতৃত্বে হামলার স্বীকার হন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস ছালাম মৃধার ৮ জন কর্মী সমর্থক। রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় ২ নং ওয়ার্ডের কমলাপুর ত্রিমুখী বাজারে পাশে চেয়ারম্যান মনির মৃধার বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস ছালাম মৃধার ৮ জন কর্মী সমর্থক আহত হন। আহতরা হলো, লিমন, কাওসার, নাঈম মিয়া, হৃদয়, রাকিব, মাজাহারুল, ফিরোজ, সজিব। যার মধ্যে গুরুতর আহত লিমন ও কাওসারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীরা বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহত নাঈম মিয়া জানান, ২ নং ওয়ার্ডের কমলাপুর ত্রিমুখী বাজারের দিকে দুপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস ছালাম মৃধার সমর্থনে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কুশলাদি বিনিময় করতে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির মৃধা
তার ভাই সাইদুল হাওলাদার, ড্রাইভার আল আমিন, লিমন, ওহাব মেলকার, নজরুল হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হাওলাদারসহ প্রায় একশত লোক দেশীয় অস্ত্র হকিস্টিক, রড, বগি নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এসময় তাদের সাথে থাকা ৫টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং প্রায় ১ ঘন্টার মত আটকিয়ে রাখেন মনির মৃধা ও তার লোকজন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির মৃধা সর্বপ্রথম আমাকে রড দিয়ে বারি মারে এবং তারপর আমার সাথে থাকা লোকদের মনির মৃধার লোকজন মারতে থাকেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস ছালাম মৃধা জানান, আমি চাই কমলাপুরে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হোক কিন্তুু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনির মৃধা তার লোকজন নিয়ে দুপুরে আমার কর্মী সমর্থকের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। যাতে আমার ৮ জন কর্মী সমর্থক আহত হন। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

হামলার বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির মৃধাকে একাধিক বার কল দিলেন তিনি রিসিভ করেনি।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জসিম জানান, মারামারির ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে আমি নিজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।