প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোর করে কালী মন্দিরের জায়গার মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার আনিছের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের হেলাচিয়া হতে তেরধোনা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদার আনিছ। অধিক লাভের আশায় স্থানীয় অসহায় মানুষদের ও পশ্চিম হেলাচিয়া কালী মন্দিরের জায়গার মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন এই ঠিকাদার। একাধিকবার বারন করার পরেও না শুনে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, সাধারণ মানুষের উপর জুলুম করে তার মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে উপায় না পেয়ে গত বুধবার ঘিওর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মন্দিরের দাতা পরিবারের সদস্য সুবির কুমার বিশ্বাস।

অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, বান্দুটিয়া এলাকার আকালীর ছেলে আনিছ রাস্তার কাজ পাওয়ার পর থেকেই হেলাচিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের জমির মাটি জোর করে কেটে রাস্তা নির্মাণ করছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতের আঁধারে পশ্চিম হেলাচিয়া কালী মন্দিরের জায়গার মাটি কেটে রাস্তায় ফেলছিলেন। বারবার বারন করার পরেও তিনি মন্দিরের অধিকাংশ জমির মাটি কেটে ফেলেন। মাটি কাটার কারনে মন্দিরটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। মন্দিরের দাতা পরিবারের সদস্য সুবীর কুমার বিশ্বাস মাটি কাটতে বারন করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন ওই ঠিকাদার।

মন্দিরের জায়গার মাটি কাটার বিষয়ে ঠিকাদার আনিছের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন, তবে মাটি কাটার বিষয়ে তার কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।