এবার মালয়েশিয়া প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ৪ ভাই এর উদ্যেগে বাংলাদেশের যশোর ঝিকরগাছায় নির্মান হবে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টি নন্দন জামে মসজিদ। এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ টি নির্মাণ করা হবে মালয়েশিয়া সুবাংজায়া রাজ্যে অবস্থিত নান্দনিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত মসজিদে আল ইরশাদ এর মত করে ডিজাইন অনুসরণ করে। পারসিয়ান সুবাং মেওয়া তে অবস্থিত আল ইরশাদ মসজিদে একসাথে সহস্রাধিক মুসল্লী নামাজ পড়তে পারেন। মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদাভাবে পর্দার আড়ালে নামাজ পড়ার সুবস্থা। এতে রয়েছে আধুনিক মানের বিশেষ সুবিধা সম্বলিত একাধিক ওযুখানা, গোসল খানা, টয়লেট, বৈঠক খানা, মুসাফির খানা সহ রয়েছে আরো নানা সুবিধা। যশোরে এই মডেল মসজিদ নির্মাণ উপলক্ষে প্রবাসী ব্যবসায়ী ৪ ভাই মো. মইন খান, জাফর খান, রাসেল খান ও রাজু খানের উদ্যেগে সুবাংজায়ায় সকল প্রবাসীদের নিয়ে মতবিনিময় ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মসজিদটি পরিষ্কার পরিছন্ন মনোরম পরিবেশে এক কাতারে সম্মিলিত হয়ে মালয়েশিয়ান ও বাংলাদেশীরা ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ইবাদত বন্দেগী তে মগ্ন থাকেন। মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ জামে মসজিদ সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। গত বছর এই মসজিদেই পুলিশ সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা এক কাতারে সম্মিলিত হয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালন করা হয়েছে যা বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।

এবিষয়ে মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মইন খান বলেন, মালয়েশিয়ার সুবাংজায়ায় অবস্থিত আল ইরশাদ মসজিদে মনোরম, পরিছন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নামাজ আদায় করে আমরা প্রবাসীরা আত্মতৃপ্তি পাই। এতে আমরা ৪ ভাই উৎসাহিত হয়ে যশোর ঝিকরগাছায় একটি দৃষ্টি নন্দন মডেল মসজিদ নির্মাণ করার স্বীদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে করে ধর্মপ্রান মুসল্লিরা অবাধে নামাজ রোজা সহ ইবাদত বন্দেগী করতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা আসন্ন রমজান মাসে এই মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করবো, মসজিদ নির্মাণে আমরা প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করেছি অর্ধ কোটি টাকা যা পরবর্তী তে এটা বাড়তেও পারে। মইন খান আরো বলেন, আমরা দেশে ও বিদেশে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী যেন দ্বীনের কাজে সফল হতে পারি এবং সকল প্রবাসীদের কাছে আকুল আবেদন তারা যেন নিজ দেশ ও সমাজের কল্যানে সামর্থ্য অনুয়ায়ী আত্মনিয়োগ করেন।