কক্সবাজারের উখিয়ায় বোধিরত্ন বড়ুয়া’র বিরুদ্ধে জাল দলিল ও খতিয়ান সৃজনের মাধ্যমে প্রকৃত জমির মালিককে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার এলাকার মৃত ক্ষিরোদ চন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে।

হয়রানির শিকার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাফর আলম কন্ট্রাক্টর এর লিখিত অভিযোগ প্রকাশ, বোধিরত্ন বড়ুয়া গং প্রতারক চক্রের সদস্য ও ভূমিদস্যু এবং দুর্দান্ত ডাকু প্রকৃতির লোক হয়। সে দেশের আইন-কানুনের তোয়াক্ষা করে না। মানুষের ছদ্মবেশে জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের জমি আত্মসাতের পায়তারা চালিয়ে আসছে।

জাফর আলমের অভিযোগ প্রকাশ, চট্টগ্রাম সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সীল দস্তখত জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষিরোদ চন্দ্রের নামে গত ১০/০৪/১৯৪২ইং তারিখ ১২৭৮নং একটি জাল দলিল সৃজন করে অভিযুক্ত বোধিরত্ন বড়ুয়া।

এ বিষয়ে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অধীন চ্যালেঞ্জ করলে দলিলটি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার উত্তর হালিশহর বাচা মিয়ার ছেলে শ্রী খয়রাতী মিয়া মিস্ত্রী গ্রহীতা হিসেবে জেলা রেজিষ্টার-চট্টগ্রামের প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়।

আরেক ভুক্তভোগী অপর মামলা নং ১৩৫/২০২৩ এর বাদী সুমন বড়ুয়া জানিয়েছেন, বোধিরত্ন বড়ুয়া জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি খতিয়ান সৃজন করে কোটবাজার আরব সিটির সামনে অখিল চন্দ্র বড়ুয়ার নামীয় রায়তী স্বত্বের উপর জোর পূর্বক কন্টেইনার বসিয়ে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সে মানছে না বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা।

তিনি আরো জানিয়েছেন, রত্নাপালং মৌজার আরএস ৯৪৩ খতিয়ানের ৮৪, ৮৬, ২০৭ দাগের অখিল চন্দ্র বড়ুয়ার রায়তী ১১শতক জমি হয়। তিনি মরণে তার তিন ছেলে নিকুঞ্জ বিহারী বড়ুয়া, বিপিন চন্দ্র বড়ুয়া ও নির্মল চন্দ্র বড়ুয়া প্রাপ্ত হয়। তৎমধ্যে ৮৪ দাগে বিপিন ও নির্মলের দুইজনের অংশ খরিদ মূলে ৪ কড়ার মালিক হলেও ৬ কড়া দখলে নেয় বোধিরত্ন বড়ুয়া গং।

একই ভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আরএস ৮৬ দাগে বিএস খতিয়ান সৃজন করে প্রকৃত মালিককে হয়রানি করে আসছে। জাল-জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বোধিরত্ন বড়ুয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকারীর অভিযোগ সঠিক নয়।

কোটবাজারে কন্টেইনার বসানো নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনার বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার শামীম হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন মোতাবেক পুলিশ কাজ করে যাবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদ জানিয়েছেন, যথাযথ ভাবে অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয় গুলো খতিয়ে দেখা হবে।