লাভজনক মাছ চাষের লক্ষ্যে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স ও ইউএসডি’র অর্থায়নে পরিচালিত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান দূতাবাসের এগ্রিকালচার এ্যাটাচি সারাহ গিলেস্কি।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি ক্যাম্পাসে মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগে আগমন করলে ফুল দিয়ে বরন করেন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরবর্তীতে সারাহ গিলেস্কি গবেষনা অগ্রগতি সংক্রান্ত সভায় যোগদান করেন। মৎস্য চাষ নিবিড়করনে যান্ত্রিকরনের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ -আল মামুন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল আলম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ ও রিসার্চ সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আনিসুজ্জামান, লাইব্রেরিয়ান সাখাওয়াত হোসেন,ডিপিডি প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো: জামাল হোসেন, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, গবেষণা প্রকল্পের গবেষকবৃন্দ ও ছাত্র ছাত্রীরা।

পরবর্তীতে প্রতিনিধিদল ল্যাবসমূহ এবং গবেষণা পুকুরসমূহ পর্যবেক্ষণ করেন দেখেন। উপাচার্য অন্যান্য অতিথি ও সারাহ গিলেস্কি কে সাথে নিয়ে অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ উদ্বোধন করেন। নামফলক উন্মোচন শেষে মসজিদের খতিব দুআ পরিচালনা করেন। ১২ টি গবেষণা পুকুর, দুইটি মাঠ গবেষণাগার নিয়ে অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে।

ড. আব্দুল্লাহ -আল মামুন বলেন, মৎস্য চাষে এ্যারেশন ব্যবহার করে মাছ উৎপাদন দেড়গুন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ্যারেশনের ধরন , সময় ও মাছের প্রজাতি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ । তিন বছর মেয়াদি এই গবেষনা সম্পন্ন হলে চাষী পর্যায়ে সুফল পৌঁছানো সম্ভব হবে। এতে কম জমিতে বেশী পরিমান মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল আলম গবেষণা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দেশের প্রানিজ আমিষের চাহিদা পূরনে অল্প জমিতে অধিক মাছ উৎপাদনে এই গবেষনা অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নোবিপ্রবি গবেষণাবান্ধব প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণায় দল মতের উর্ধ্বে সকল সহযোগীতা অব্যহত থাকবে।

সারাহ গিলেস্কি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নোবিপ্রবির গবেষণা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ভৌগলিকভাবে নোবিপ্রবি অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্হ্য নিয়ে গবেষনার অবারিত সুযোগ রয়েছে। আমেরিকান জনগন বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী।