ঝড়- ঝঞ্ঝায় মানুষ যাতে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে এজন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আগামী বছর প্রতিটি ইউনিয়নে কমপক্ষে একটি করে সাইক্লোন সেল্টার (ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র) নির্মাণ করা হবে। বিদেশী অর্থায়ণে আন্তর্জাতিক মানের সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণের জন্যও একটি সংস্থার সাথে কথা হয়েছে।’ বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মহিব এমপি।

এছাড়াও নিজ নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর সোনারচর, জাহাজমারা ও চরহেয়া সমুদ্র সৈকতে একটি করে সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ হবে বলে জানান এ প্রতিমন্ত্রী।বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, দুর্যোগকালীন আমাদের দেশের সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে বিদ্যুৎ থাকে না। তাই আমাদের মন্ত্রণালয়ের নির্মিত সাইক্লোন সেল্টারগুলোকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য সোলার সিস্টেমের (সৌর সোলার) আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়কে ১০টি ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। এরমধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাতে মানুষ মারা না যায়, তা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা ১৫ মিটারের মধ্যে ব্রিজ-কালভার্ট করি। কিন্তু আমরা এখন সিদ্ধান্ত তা বাড়িয়ে ৩০ মিটার (১০০ ফুট) করার জন্য। যাতে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই ৯০ ভাগ কাজ বাস্তবায়ন করা যায়।

এবিষয়ে সরকারকে আমরা প্রস্তাব করবো। ডিপিপি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সভা শেষে বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার বাহেরচর থেকে নেতা বাজার হয়ে দাসবাড়ি সড়ক এবং গঙ্গিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সামুদাবাদ বটতলা সড়ক নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এই দুইটি সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি ৮২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯৭ টাকা।

এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন, কলাপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন প্রমুখ।