পটুয়াখালী পৌরসভায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে ৯ কোটি ৯৩ লক্ষ পয়তাল্লিশ হাজার বিরানব্বই টাকা। এনিয়ে প্রতি মাসে বকেয়া বিল আদায়ে বিদ্যুৎ অফিস লিখিত চিঠি দিলেও কোন সাড়া দিচ্ছে না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

জানাগেছে, পৌরভবন, কমিউনিটি হল, পানির পাম্প ও পৌর এলাকার রাস্তাসহ প্রায় ৩২ টি হিসাবের বিপরীতে পৌরসভা এ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। বিগত কয়েক বছর ধরে পটুয়াখালী পৌরসভায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। বিভিন্ন মাসে পৌর কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল দিলেও বেশির ভাগ মাসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে না। এনিয়ে প্রতি মাসে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপডিকো) পটুয়াখালী বারবার বকেয়া বিল পরিশোধে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও বিল পরিশোধ করেনি তারা।

এদিকে মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পরিশোধ না করেই শহরের প্রবেশদ্বার চৌরাস্তা থেকে সার্কিট হাউজ এলাকা পর্যন্ত সড়কে রং বেরংয়ের বাতি জ্বালিয়ে প্রতিদিন আলোকসজ্জায় সজ্জিত রাখা হচ্ছে। এটিকে শহরের অনেকেই বর্তমান মেয়রের নির্বাচনী কূটকৌশল হিসেবে মনে করছেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করাই একমাত্র উপায় অথচ সেই জনগণকেই বোকা বানিয়ে আলোকসজ্জা রেখে উন্নয়নের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে বর্তমান মেয়র ও মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ বলে অভিযোগ তোলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

পটুয়াখালী পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা রিয়াজ উদ্দিন মজুমদার জানান, এটা যেহেতু পৌরসভার ব্যাপার তাই মেয়রকে জানালে ভাল হয় কারন সে বিস্তারিত বলতে পারবে। এর আগে পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদকে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত তার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।

পটুয়াখালী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দীন মোহাম্মদ মহিম জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই পৌরসভার কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। যা এখন প্রায় ১০ কোটি টাকার মত দাঁড়ায়। এনিয়ে বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদকে বারবার জানানো হয়। তবে ২০২৩ সালের জুন থেকে প্রতিমাসের বিল প্রতি মাসে দিলেও এখনো বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রবিবার জেলা প্রশাসকের দরবার হলে জেলা উন্নয়ন সভায় পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলটি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা হয়। তবে বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচন চলায় বিষয়টি নির্বাচনের পর দেখার সিদ্ধান্ত হয়। তখন যদি পৌর কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানান।