মানিকগঞ্জে ভূয়া কাগজপাতি দিয়ে বিবাহের নামে কোর্ট চত্বরে প্রতারণা করে বেড়াচ্ছে বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের কাজী আব্দুস সালাম। নিজেই সিল তৈরি করে কাবিননামার নকল বইয়ে বিবাহের রেজিস্ট্রি করে প্রতারণা করে চলছেন তিনি।

জানা যায়, অতিরিক্ত পরিমান টাকা নিয়ে কোর্ট চত্বরে বাল্য বিবাহসহ বিভিন্ন ঝামেলার বিয়ে ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে পড়িয়ে থাকেন এই কাজী।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পাশে পৌর বিপনী বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলায় অ্যাডভোকেট মনিরের চেম্বারে একটি নাবালিকা, যার বয়স মাত্র ১৫ বছর তাকে ভূয়া কাগজপাতি দিয়ে কাগজ অসম্পূর্ণ রেখে বিয়ে পড়িয়ে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় কাজী আব্দুস সালাম।

মেয়ে ও ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়, কাজী আব্দুস সালাম এই বিবাহ পড়িয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। এখন তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না । তিনি আরো বলেছেন কম বয়স থাকলে সমস্যা নেই,বিবাহ পড়ানো যাবে।

আবুল হোসেন বলেন, আমি বিয়ে করেছি দুই বছর আগে এখনো এই কাজী আমাকে নকল দেয়নাই। তার কাছে নকল চাইলে আমার কাছে টাকা চায় আমি ৫ শত টাকা দিয়েছি, আমার কাছে আরো টাকা চাচ্ছে।

কোর্ট চত্বরের একাধিক লোক জানায়, কাজী আব্দুস সালাম বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের কাজী। তিনি কিভাবে এই এড়িয়াতে এসে ভূয়া কাগজপাতি দিয়ে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করে তা কারো চিন্তার বাহিরে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানিকগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আশেপাশে ঝামেলার বিয়ে অধিক টাকার বিনিময়ে ভুয়া রেজিস্ট্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের কাজী আব্দুস সালাম বলেন,আমি ঝামেলার কোনো বিয়ে পড়াই না, এ ধরনের বিয়ে পরানো অনৈতিক। তবে তিনি কোর্ট চত্বরে কি করে তা জানতে চাইলে কোন উত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, যদি কোর্ট চত্বরে কেউ ভূয়া বালাম বই ও ভূয়া রশিদ দিয়ে বিবাহের নামে প্রতারণা করে থাকে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার/জে আই