পরিস্থিতি যে রকমই হোক আর একজনকেও অনুপ্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে না। পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা রাখতে বিজিবির কায়দা কানুন আছে তা প্র‍য়োগ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

আজ বুধবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিং এ তিনি এই কথা বলেন।

বিজিবির মহাপরিচালক জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তুমুল লড়াই চলছে। সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। ওই সংঘর্ষে ছোড়া মর্টার শেল ও গুলির আঘাতে ৩ বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে একাধিক লোক। এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরো বলেন, এই পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ২৬৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাসদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা মানবিকতার খাতিরে তাদের আশ্রয় ও চিকিৎসা দিয়েছি। আমাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ধৈর্য ধারণের নির্দেশ রয়েছে। তাই আমরা সহনশীল পর্যায়ে আছি।

তাদের অভ্যান্তরীন সমস্যা যেনো বাংলাদেশের সমস্যা সৃষ্টি না করে, পাশাপাশি আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে কূটনীতিক আলোচনা চলছে।

এদিকে, বিজিবি মহাপরিচালকের প্রেস ব্রিফিং এর পরেই দুপুর ১২টার দিকে নতুন করে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে ৬৩ জন বিজিপি সদস্য অত্মসমর্পন করেছে। সব মিলিয়ে আত্মসমর্পনের সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ৩২৭ জন।

বার্তা বাজার/জে আই