বিশ্ব ক্রিকেটে খুব বেশি ‘মিস্ট্রি’ স্পিনার নেই। যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে সেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারিন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বেশিরভাগ আসরেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন ক্যারিবিয়ান এই স্পিনার। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলমান থাকায় এখনই তাকে পাচ্ছে না কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজি।

বিষয়টি বেশ আগে থেকেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জানা ছিল। তবে নারিনের বিকল্প হিসেবে ‘মিস্ট্রি’ স্পিনার তকমা পাওয়া আলিস আল ইসলামকে ড্রাফট থেকে দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা। ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে একাই সিলেট স্ট্রাইকার্সকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বোলিং অ্যাকশনের কারণে মাঝে কয়েক বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকা এই স্পিনার।

ম্যাচ শেষে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের দাবি, নারিনের অভাব পূরণেই আলিসকে দলে নেওয়া হয়েছিল।

কুমিল্লার প্রধান কোচের ভাষ্য, আমাদের দলটা যেভাবে সাজানো ছিল, তিন থেকে চারজন ক্রিকেটার আসেনি। তো কম্বিনেশন নষ্ট হয়ে গেছে। আমি আসলে ড্রাফটেও একটা প্লেয়ারকে ডাকি নাই, আমি আলিসকে নেওয়ার জন্য। এটা নির্ভর করছিল সুনীল (নারিন) কখন আসে।

তিনি যোগ করেন, সুনীলের উপর আমাদের অনেক কিছু নির্ভর করে। যেহেতু ও (সুনীল) আসে নাই, তখন আমাদের যে বোলিং আক্রমণ আছে আমার মনে হয়েছে যে একজন মিস্ট্রি বোলার দরকার। যে আসলে মধ্যে খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করবে বা আগে আগে উইকেট নিয়ে নেবে। তো সুনীল আসলে আমরা আরও শক্তিশালী হবো।

এদিকে দেশে খুব বেশি ‘মিস্ট্রি’ স্পিনার নেই। থাকলেও সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি তারা। আর ‘মিস্ট্রি’ স্পিনারদের আরেকটি বড় সমস্যা হলো তাদের ক্যারিয়ার খুব বেশি দীর্ঘ হয় না। মূলত বোলিং অ্যাকশনের কারণেই বিপাকে পড়েন তারা। আলিসও চমক দেখিয়ে এমন সমস্যার কারণে মাঝের ৪ বছর ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের বাইরে ছিলেন।

এবার সুযোগ পেয়েই তা লুফে নিচ্ছেন আলিস। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে উইকেট শূন্য থাকলেও সিলেটের বিপক্ষে দুর্দান্ত ছিলেন আলিস। মাত্র ১৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার ম্যাচসেরাও হয়েছেন। এদিন একে একে নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলী রাব্বি, বেন কাটিং, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার মতো ব্যাটারদের ফিরিয়েছেন তিনি।

তাই সালাহউদ্দিন বিশ্বাস, বৈচিত্র্য ধরে রাখতে পারলে আলিস বাংলাদেশের সম্পদ হতে পারেন।

কুমিল্লার প্রধান কোচের ভাষায়, আমাদের দেশে মিস্ট্রি বোলার অনেক কম। ছেলেটা অনেক আগে শুরু করেছিল। অনেক ভালো করেছিল। এর মধ্যে চাকিং (অবৈধ বোলিং অ্যাকশন) এর কারণে বাদ পড়ল। ৪ বছর ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে ছিল।

সালাহউদ্দিন যোগ করেন, আমার একটা সুবিধা ছিল। ও আমার কাছে অনুশীলন করে বলে কাছ থেকে দেখতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস ছিল ওর ওপর। ওর বলে অনেক বৈচিত্র্য আছে। এমন বোলার আমাদের দরকার, দেশের দরকার। যেহেতু আমরা মিস্ট্রি বোলার পাচ্ছি না, এমন বোলার পেলে লাভ হবে। তার অনেক বৈচিত্র্য। সে এটা ধরে রাখতে পারলে দেশের অনেক বড় সম্পদ হতে পারে।

বার্তা বাজার/জে আই