কেন্দ্র মনোনীত প্রার্থী জনগণ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের মনঃপূত না হওয়ায় মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের এমপি পদে পরাজয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র থেকে বিজয়ী এমপি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার।

শনিবার কম্বল বিতরণ শেষে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের হলরুমে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন। এ সময় তিনি বলেন ‘এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কিংবা নৌকা হারেনি। হেরেছেন ব্যক্তি।’

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ঈগল প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৯ শত ৫৭ ভোটের ব্যবধানে এবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

১৪৮টি কেন্দ্রের ২টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখে ১৪৬ কেন্দ্রর প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষনা করা হয়। এর মধ্যে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৯শত ৭১ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এই আসনের দুই বারের সাংসদ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৪ ভোট।

আগের এমপি ইউসুফ হারুন যুবদল, বিএনপি জামাত নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনঠাসা করে রেখেছিলেন আপনার সময়ে এরকম হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নবনির্বাচিত এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন শেষে সন্ধ্যায় পরাজিত প্রার্থী ইউসুফ হারুনের কর্মীরা মুরাদনগর সদরে ককটেল ফাটিয়ে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এতে দল, প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনেরও ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে। ইউসুফ হারুন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েও সরকার ও শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। আমার সময়কালে তার সময়ের পূনরাবৃত্তি হবেনা।’

এ সময় মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডক্টর আহসানুল আলম সরকার কিশোর, সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম খসরু, মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা সৈয়দ আহমেদ হোসেন আউয়াল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য তরিকুল ইসলাম দিপু, মুরাদনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বশির সরকার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ রাজিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এম আই