সদ্য সমাপ্ত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনে রোববার ৭ জানুয়ারি বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ১১ প্রার্থীর মধ্যে নয়জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছে।

জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে ৮৮১ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর প্রার্থী ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ কুঁড়েঘর প্রতীকে ৪৯৫ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী বেনজির আলম অনন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে ২৫১ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আমিনুল ইসলাম ডাব প্রতীক নিয়ে ৩৪২ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সাজ্জাদুল হোসাইন চেয়ার প্রতীক নিয়ে ১৩০ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বসির আহাম্মদ গামছা প্রতীকে ৭১ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বাছির মিয়া ছড়ি প্রতীকে ৮৮ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মনিরুজ্জামান ফুলের মালা প্রতীকে ১৪৩ভোট, গণফ্রন্টের শরীফুল ইসলাম মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ভোট।

কুমিল্লা-৩ আসনে ১৪৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪৬০৯৮৭ জন, তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩৭৫৪৮ এবং মহিলা ভোটার ২২৩৪৩৬, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তিনজন। মোট প্রদত্ত ভোট ১লক্ষ ৬১হাজার ৫৪১টি। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী কোনো প্রার্থী প্রদত্ত মোট ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ বা শতকরা হিসেবে সাড়ে বারো শতাংশ ভোট না পেলে তিনি জামানত হারাবেন। এবার মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ২০ হাজার টাকা করে জমা দিতে হয়েছে। এটিই নির্বাচনী
জামানত।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের জাহাঙ্গীর আলম সরকার বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
ঈগল প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৩,৯৭১ টি। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২,০১৪ ভোট।

কুমিল্লা-৩ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বলেন , নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন তারা যদি প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ ভোট না পায় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী জামানত হারাবেন। জামানত হিসেবে দেওয়া টাকা আর ফেরত পাবেন না।

বার্তাবাজার/এম আই