লিওনেল মেসি ফুটবলের এক কিংবদন্তিই বটে। ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জয়ের পর নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়। মাঠে নিজের পছন্দমতো স্পেস নিয়ে খেলেছেন ক্যারিয়ারের প্রায় অনেকটা সময় জুড়ে। ফ্রি রোলের খেলোয়াড় হিসেবে জয় করেছেন অগণিত ফুটবল ভক্তের মন।

মেসির এই ফ্রি রোলের ফুটবল অবশ্য তার নিজের তৈরি না। এর পেছনে ছিলেন একজন জার্মান। ষাটের দশকের শেষ আর সত্তরের দশকের শুরুতে জার্মান কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার খেলেছিলেন ‘লিবেরো’ হিসেবে। এরপর থেকেই তা বেশ জনপ্রিয়। ফুটবল বিশ্বে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই তারকা পরপারে গিয়েছেন গতকাল সোমবার।

বেকেনবাওয়ারের প্রস্থানে শোকাহত ফুটবল দুনিয়া। সেই শোক স্পর্শ করেছে লিওনেল মেসিকেও। জার্মান কিংবদন্তি এই ফুটবলারের প্রস্থানের পর নিজের ইন্সটাগ্রামে তার ছবি পোস্ট করেছেন মেসি। শোকের বার্তা হিসেবে লিখেছেন ‘শান্তিতে ঘুমাও।’

জার্মান কিংবদন্তির মৃত্যু স্পর্শ করেছে মেসির সতীর্থ এবং বিশ্বকাপজয়ী লেফট ব্যাক নিকোলাস টালিয়াফিকোকেও। জার্মানির জার্সি পরিহিত বেকেনবাওয়ারের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। শান্তিতে ঘুমাও কাইজার।

জার্মানির ফুটবলে অবিচ্ছেদ্য নাম বেকেনবাওয়ার। পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৭৪ সালে অধিনায়ক হিসেবে এবং ১৯৯০ সালে কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে তোলেন। জার্মানির হয়ে তিনি সব মিলিয়ে খেলেছেন ১০৪ ম্যাচ। সত্তরের দশকে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে হ্যাটট্রিক ইউরোপিয়ান কাপও জিতেছেন এই ডিফেন্ডার।

জার্মানির ফুটবলে অসামান্য অবদানের কারণে তার নামই হয়ে যায় কাইজার বা সম্রাট। ফুটবল বিশ্বে যে তিনজন ফুটবলার একইসঙ্গে খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন বেকেনবাওয়ার তাদের একজন। দুদিন আগেই একই কীর্তি গড়া ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মারিও জাগালো পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন।

বেকেনবাওয়ার পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন গতকাল। পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল (স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১২ মিনিট) বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে আমরা ঘোষণা করছি, বাবা ও স্বামী ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার গতকাল ঘুমের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। এ সময় পরিবার তাঁর পাশে ছিল।’

বার্তা বাজার/জে আই