আর মাত্র কয়েকদিন পরই মাঠে গড়াবে বিপিএলের দশম আসর। সাত দলের টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো তাদের দল গোছানোর কাজ শেষ করেছে। দলগত লড়াই ছাড়াও, আসন্ন এই বিপিএলে স্থানীয় কোচদের বিপক্ষে লড়াই করবে কেবল একজন বিদেশি কোচ। সবাই দেশি কোচদের উপর ভরসা রাখলেও, বাংলাদেশ দলের সাবেক হেড কোচ ডেভ হোয়াটমোরকে নিয়োগ দিয়েছে তামিমের ফরচুন বরিশাল।

এর আগে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন ডেভ হোয়াটমোর। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৩ কিংবা ১৪ জানুয়ারি হোয়াটমোর আবারও বাংলাদেশে ফিরতে যাচ্ছেন। ফরচুন বরিশালের হয়ে এবার বিপিএলে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান হোয়াটমোরকে। হোয়াটমোরের জন্য বাংলাদেশ স্মৃতিকাতর জায়গা। তার অধীনেই বাংলাদেশ বড় দলগুলোকে হারানো শুরু করেছিল। লম্বা সময় পর তিনি আবার ফিরতে যাচ্ছেন তিনি।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বরাবরের মতো এবারও কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ওপর রেখেছে আস্থা। টানা ষষ্ঠবারের মতো এই দলটিরে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি। বিপিএলে সবচেয়ে বেশি চার শিরোপাও জিতেছেন তিনি। রানার্স আপ সিলেট স্ট্রাইকার্স বেছে নিয়েছে রাজীন সালেহকেই। গতবারও রাজীনের অধীনে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিলেন সিলেট।

এদিকে সাকিবের রংপুর রাইডার্স কোচ সোহেল ইসলামের ওপর আস্থা রেখেছে। বিপিএলের এবারের আসরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকা নামের দলটির হেড কোচের দায়িত্ব সামলাবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি গতবার ছিলেন খুলনা টাইগার্সে।

অন্যদিকে খুলনার দায়িত্ব পেয়েছেন তালহা জুবায়ের। গতবার এই দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার।

এ ছাড়াও স্থানীয় আরেক কোচ তুষার ইমরানকে নিয়োগ দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তুষার গত বছর সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এবার প্রমোশন পেয়ে হেড কোচ হয়েছেন চট্টগ্রাম দলের।

ফলে আসন্ন বিপিএলে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে এক বিদেশি কোচের লড়াইও আলাদা উন্মাদনা ছড়াবে বলার অপেক্ষা রাখে না।

বার্তা বাজার/জে আই