সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত সাত দিনে (২৭ ডিসেম্বর-২ জানুয়ারী) নির্বাচনী প্রচারণায় প্রায় ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

মেটার অ্যাড লাইব্রেরির তথ্য বলছে, ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি এই সময়ে বিজ্ঞাপন বাবদ এই ডলার ব্যয় করেছে বাংলাদেশিরা। বিজ্ঞাপনের এই ডলার শুধু প্রার্থী নিজে ব্যয় করেছে তা নয়, তাদের কর্মী সমর্থকরাও এর পেছনে রয়েছে।

মেটার তথ্য বলছে, গত সাত দিনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম। ৩৯ টি অ্যাডের পেছনে তার ব্যয় প্রায় ৫ হাজার ডলার । ব্যয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম এ রাজ্জাক খান। ৭৬ অ্যাডের বীপরিতে তার ব্যয় প্রায় ২ হাজার ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জামালপুর-২ আসনে দলের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ ব্যয় করেছেন ১৬০০ ডলারেরও বেশি।

এছাড়া সাবের হোসেন চৌধুরী ব্যয় করেছেন ১৩৪১ ডলার, ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি ফোরাম (ক্যাপ)’ এ ব্যয় করা হয়েছে ১৩৪১ ডলার এবং প্রেস এক্সপ্রেস নাম পেইজে ব্যয় করা হয়েছে ১০২০ ডলার।

সাত দিনে ব্যয়ের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ঢাকা ডিভিশন, ব্যয় ২৭,৯৮৪ ডলার, তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চট্টগ্রাম, ব্যয় ৭১৯২ ডলার, তৃতীয় স্থানে খুলনা ডিভিশন, ব্যয় ৩৪৬০ ডলার , তালিকায় চতুর্থ স্থানে রাজশাহী ডিভিশন, ব্যয় ২১৬২ ডলার, পঞ্চম স্থানে রংপুর, ব্যয় ২০০১ ডলার, ষষ্ঠ স্থানে থাকা সিলেট ডিভিশনের ব্যয় ১৩১৩ ডলার এবং সপ্তম সপ্তম স্থানে থাকা বরিশাল ডিভিশনের ৮৭১ ডলার নির্বাচনী ব্যয় করা হয়েছে।

মেটার অ্যাড লাইব্রেরিতে গত এক মাসের ব্যয়ের হিসাবও পাওয়া গেল। এই সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ডলার (১ কোটি ৪১ লাখ টাকা)।

৬৯৮৯ ডলার ব্যয়ে তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন সালমা ইসলাম, সালমান এফ রহমান ব্যয় করেছেন ৪৯৫৮ ডলার এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ ব্যয় করেছেন ৪৩২১ ডলার। একই সময়ে প্রেস এক্সপ্রেস থেকে ব্যয় করা হয়েছে ৫৮৬৮ ডলার এবং মিনিস্টার হাইটেক পার্ক থেকে ব্যয় করা হয়েছে ৪৭৩৯ ডলার।

ইনফোসেকবুলেটিনের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মেটা বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের পেছনে অর্থ আয়ের হিসাব তুলে ধরছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী নির্বাচনে কাঙ্খিত ভোটারকে টার্গেট করে এলাকা ভিত্তিক সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। তবে মেটার এই হিসাবের বাইরেও অনেক ভাবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। তাই মেটার এই হিসাবের বাইরেও প্রকৃত ব্যয়ের চিত্র বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই