মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুখুরিয়ায় খিরাই নদীতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেতু নির্মাণের অভিযোগে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এলজিইডির উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো:কামরুজ্জামান ঠিকাদারকে নির্দোষ প্রমাণ করতে প্রতিবেদকদের ডেকে এনে কৌশল ব্যবহার করে ব্যবহাকৃত মালামাল সরিয়ে নামে মাত্র পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, গত ২৪ শে ডিসেম্বর বৃহত্তর ঢাকা গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ আওতায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামের খিরাই নদীতে প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেতু নির্মাণের অভিযোগের ব্যাপারে সোনারবাংলা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

কিন্তু ২৫ শে ডিসেম্বর ঠিকাদারের লোকজন দিয়ে আগের সব মালামাল সড়িয়ে সাংবাদিকদের ডেকে ঠিকাদারের পক্ষে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হয় মর্মে প্রতিবাদ ছাপাতে অনুরোধ করেন ওই প্রকৌশলী।

অথচ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেতু নির্মাণের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি এই কর্মকর্তা। আবার তিনি ঠিকাদারের ম্যানেজারকে বলেন সাংবাদিকরা আসলে তাদের চা বিস্কুট খায়িয়ে খুশি রাখতে হবে।

প্রকাশিত সংবাদাদের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার (জি ও বি) প্রকল্পের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে ১৮ মাসের চুক্তিতে ব্রীজ নির্মানের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান: এম বি ই এল-এস বি এন জেভি মিঃ মহিউদ্দীন মঈন। বালিয়াখোড়া ইউপি সড়কে খিরাই নদীর উপর ১৬৮০ মিটার চেইনেজে ৪২ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণে চুক্তিমুল্য ধরা থাকে ১১ কোটি ১৬ লাখ ২১ হাজার ৭৮৮.১৪০ টাকা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাটি নিজে কাজ না করে সোনার বাংলা নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট ব্রীজ নির্মানের জন্য চুক্তি দেয়। সোনারবাংলা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর সাথে যোগসাজশে নিম্নমানের সমিগ্রী দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নির্মাণস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কাদামাটি ও কংক্রিট মিশ্রিত পাথর দিয়ে তাড়াহুড়া করে কাজ করে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সরকার জনগণের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেতু নির্মানের জন্য অনুমোদন দিলেও তা সরকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিলে নয়-ছয় করে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিপুর্বেও সাংবাদিক এসেছিলো উপজেলা প্রকৌশলী তাদেরকে বলেছিল যে সমস্ত নির্মান সামগ্রী খারপ আছে তা সরিয়ে ভালো জিনিষ দিয়ে কাজ করবে। আগের উপজেলা প্রকৌশলী বদলী হয়ে যাওয়াতে আবার নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করছে।

সোনারবাংলা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তদারককারী কর্মকতা সুব্রত বলেন, আমাদের নির্মান সামগ্রী মালামাল ল্যাব টেষ্ট করে কাজ করছি। আপনারা উপজেলা উপ- সহকারী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, নির্মান সামগ্রীগুলো ১০০ ভাগ ভালো,যদি খারাপ হয় তাহলে ফেরত দেওয়া হবে।

বার্তা বাজার/জে আই