মানিকগঞ্জে বিডিএস পাশ না করেই নামের পূর্বে ডেন্টিস্ট পদবী ব্যাবহার করে হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গার্লস স্কুল মোড়ে দীর্ঘ দিন ধরে রোগীদের সাথে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে টিটুল।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, টিটুল শেখের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ ঝিটকা এলাকায় এ পেশায় নিয়োজিত আছে। তিনি মানিকগঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্য হতে ২০১৭ সালে ডিডিটি ( ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল টেকনোলজি) পাশ করেই শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন দাঁতের রোগীদের সাথে প্রতারনা। তার এই প্রতারনার মাধ্যমে অপচিকিৎসা দেওয়ার কারনে হরিরামপুর উপজেলার হৃদয় ও বাধনসহ একাধিক দাঁতের রোগীর ইনফেকশন জনিত সমস্যা হয়ে মারাত্বক রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

তিনি অপচিকিৎসার মাধ্যমে রুট ক্যানেল,স্কেলিং ও দাঁতের ক্যাপ পড়ানো ছাড়াও রোগীদের ব্যাবস্থাপত্রে বড় বড় এন্টিবায়োটিক ঔষুধও লিখেন। তিনি ২০১০ সালের বাংলাদেশ মেডিক্যাল ডেন্টাল কাউন্সিল আইনকে অমান্য করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিধারছে চালিয়ে যাচ্ছে অপচিকিৎসা। এই আইনের অধীনে ন্যুনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রী প্রাপ্তগণ ব্যতিত অন্য কেহ তাহাদের নামের পূর্বে ডাক্তার বা ডেন্টিস্ট পদবী ব্যবহার করতে পারবেনা।

এই বিধান লংঘন করলে তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড বা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন। তবে এই আইনের তোয়াক্কা না করে দশ বছর ধরে হরিরামপুর বাসীরসাথে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে আসছে এই টিটুল। টিটুলের কাছে সেবা নিতে আসা মর্জিনা,শিরিয়াসহ একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানা য়ায়, মর্জিনা নামের এক রোগীকে দাঁতের ক্যাপ পড়িয়ে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে ৩ হাজার ৫শত টাকা, শিরিয়া নামের এক রোগীর দাঁত উঠিয়ে হাতিয়ে নেয় ৫ শত টাকা।

এ বিষয়ে টিটুল শেখের কাছে তার চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বড় ভাইদের সাথে কথা বলেন তারা জেলা সির্বিল সার্জন অফিসেই থাকে। জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত ডেন্টাল সাজর্ন ডা: মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, যে সকল ডিডিটি ( ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল টেকনোলজি) পাশ করা কোন টেকনিশিয়ানরা নামের পূর্বে ডেন্টিস্ট পদবী ব্যবহার করতে পারবে না। এবং কি কোন দাঁতের রোগীদের সার্জিক্যাল চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবে না।

এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন ডা: মো: মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, তারা প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্যবস্থা দিতে পারবে। তবে সার্জিক্যাল বিষয়ে কোন চিকিৎসা এবং সব ঔষুধ লিখতে পারবে না।

বার্তা বাজার/জে আই