জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি খাত থেকে বিশেষ গবেষণায় অনুদানের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফেলোশিপ পেয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই শিক্ষক।

তারা হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: খলিলুর রহমান ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেলোশিপ প্রাপ্তদের একজন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রাণালয়ের যুগ্ম সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ইজ্ঞিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষক হলেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী। তার ফেলোশিপের সহযোগী হিসাবে আছেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন।

ফিজিক্যাল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষক হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: খলিলুর রহমান। তার ফেলোশিপের সহযোগী হিসাবে আছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুন নাহার কলি। ফেলোশিপ প্রাপ্ত ড. মো: আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী পাবেন তিন লক্ষ টাকা এবং ড. মো: খলিলুর রহমান পাবেন আড়াই লক্ষ টাকা।

রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী বলেন, ”সিলভার (Ag) প্লাজমোনিক উদ্দীপকের উপস্থিতিতে ফটোক্যাটালিটিক এবং ফটোঅ্যানোডিক ব্যবহারের জন্য সিলভার-জিংক অক্সসাইড পাতলা ফিল্মের ডিভাইস তৈরি-প্রকল্পটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় কর্তৃক গৃহীত হয়। এ ডিভাইসটি সফলভাবে তৈরী করা গেলে তা দিয়ে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে পানিকে ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে আলাদা করা সম্ভব হবে ধারণা করা হয়। হাইড্রোজেন হলো একটি উৎকৃষ্ট ভবিষ্যৎ জ্বালানি। এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে বড় পরিসরে বিজ্ঞানীরা মূলত জ্বালানি সমস্যা সমাধানের উপায় বের করেন।”

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: খলিলুর রহমান বলেন, ”গবেষণায় নিজেকে মনোনিবেশ রাখলে এসব ফেলোশিপ পাওয়া যায়। এরকম ফেলোশিপ পাওয়া ভবিষ্যৎতে আরও ভালো কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা পাওয়া যাবে। গবেষণায় সবাই মনোযোগ দিলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে উঠবে।”

উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।

বার্তা বাজার/জে আই