মানিকগঞ্জ-২ আসনের নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগমের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থদের উপর হামলার ঘটনায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে আসনের সংশ্লিষ্ট উপজেলা হরিরামপুর। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।

জানা যায়, গত রবিবার উপজেলা চত্বরে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থকদের ওপর বিকেলে ও সন্ধ্যায় পরপর দুইবার আক্রমণ করে নৌকার সমর্থকরা।

উক্ত হামলায় হৃদয় নামের একজন গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

আওয়ামী লীগের নেতাদের বরাতে জানা যায়, কথা কাটাকাটির জের ধরে উপজেলা চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত হৃদয় হোসেন জানান, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবিদ হাসান বিপ্লবের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক সময় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নৌকার কঠোর সমর্থক লুৎফর রহমানকে ফোন দিয়ে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে লুৎফরের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা হয়, আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি ।

এ বিষয়ে মাসুদ রানা জানান, আমরা উপজেলা চত্বরে চায়ের দোকানে ছিলাম। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গুলজার হোসেন বাচ্চু, বলরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিন কুন্নু, সরকারি নুরুল ইসলাম কলেজের সাবেক ভিপি পলের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক দেলোয়ারসহ ১০ থেকে ১৫ জন লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় যুবলীগ নেতা আনোয়ার মেম্বার, আলমাস মেম্বার,আবুল মেম্বার ও আফজাল আহত হয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রবিউল ইসলাম রাজা বলেন, নৌকার সমর্থকরা গতকাল অতর্কিতভাবে দেওয়া জাহিদ আহমেদ টুলুর উপজেলার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা জানে নৌকার পরাজয় নিশ্চিত তাই তারা এই নির্বাচনে ঝামেলা করে, নির্বাচন বানচাল করতে চায় ।

হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গুলজার হোসেন বাচ্চু জানান, গতকাল হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি, হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে নবীনুর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবিদ হাসান বিপ্লবকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে, আওয়ামী লীগের ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলা চত্তরে জড়ো হয়। পরবর্তীতে নৌকার পক্ষে একটি মিছিল বের করে।

এ ব্যাপারে হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাঈদুর রহমান বলেন, আজকে যে পরিবেশ লক্ষ্য করছেন, সেই পরিবেশটি হলো পরিকল্পিত । একটা দল পরিকল্পিতভাবে সামনে যে নির্বাচন সেই নির্বাচনটাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তার লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ নূর এ আলম বলেন, গতকালকের হামলার ঘটনায় ৩ টি মামলা হয়েছে, আমরা আসামিদের ধরার চেষ্টা করছি।

তবে এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহরিয়ার রহমান বলেন,এখন হরিরামপুর উপজেলা চত্বরে কেউ নেই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। গতকালকের হামলার ঘটনায় জেলা রিটারনিং কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে, সেখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইলেক্টোরাল কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।

বার্তা বাজার/জে আই