নিজ উদ্যোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাস ও কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করে দুর্ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইরফান উল্ল্যাহর চিকিৎসার জন্য ৪০ হাজার টাকা ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন ক্যানসার আক্রান্ত এক ব্যবসায়ীর চিকিৎসার জন্য তার ছেলের কাছে ২৮ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছে থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের মাধ্যমে পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা কুলছুম আক্তার স্বপ্না, বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম এবং আব্দুর রহিমের কাছে ৪০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

এরপর সেলিম মুন্সি স্টোর এন্ড কনফেকশনারির ব্যবসায়ী ক্যানসার আক্রান্ত মো: সেলিম মিয়ার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে থিয়েটার কুবি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল উপদেষ্টা এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ এবং বর্তমান নাট্য কর্মীরা।

এ ব্যাপারে থিয়েটার কুবির সভাপতি গুলশান পারভীন সুইটি বলেন, ‘থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই মানবিক কাজে অগ্রসর ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লার শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ সংগ্রহ করি। সংগ্রহকৃত অর্থ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের মোঃ ইরফান উল্লাহকে এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সেলিম মুন্সি স্টোর এন্ড কনফেকশনারির ব্যবসায়ী ক্যান্সার আক্রান্ত মোঃ সেলিম মিয়াকে আজ হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘এর আগেও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তন্ময় সরকার, তানিন মেহেদী, অন্তর সাহা এবং উর্মী আচার্যের বাবাকে চিকিৎসার জন্য সহায়তা করেছি। এবার মোঃ ইরফান উল্লাহ ও মোঃ সেলিম মিয়া মামাকে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতেও আমরা এই ধরনের যেকোনো প্রয়োজনে যথাসম্ভব সচেষ্ট থাকব বলে আশাবাদী।’

উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর মোহাম্মদ ইরফান উল্ল্যাহকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়। এরপর থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন তিনি। এছাড়া ক্যাম্পাস সংলগ্ন দোকানদার মো: সেলিম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

বার্তাবাজার/এম আই