দক্ষিণ অঞ্চলের মাদারীপুর জেলার রাজৈরে জেকে বসেছে শীত। ঘণকুয়াশায় ঢেকে যেতে শুরু করেছে উপজেলার প্রতিটি গ্রামাঞ্চল। এতে চরম দূর্ভোগে পড়ছে হতদরিদ্ররা। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। হঠাৎ কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। এদিকে শীতার্তদের মাঝে দ্রুত শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানালেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে সরজমিনে টেকেরহাট ও রাজৈর বাসস্ট্যান্ড, কানাইপুর, ইশিবপুর, তাতিকান্দা, পূর্ব স্বরমঙ্গল ও ঘোষালকান্দি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে প্রতিটি রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। এর মধ্যেই জমিতে কাজ করছে কৃষক। এছাড়া ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকসহ সকল ধরনের যানবাহন লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। ঘণকুয়াশায় বেশি দূর পর্যন্ত দেখা না যাওয়ায় দূর্ঘটনার আশংকায় ছিলেন পরিবহন ড্রাইভাররা। তবে বিভিন্ন শিক্ষার্থীসহ জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া পথচারীদের ঠান্ডার অনুভূতিও ছিল চোখে পড়া মতো।

এক পথচারী ঘোষালকান্দি গ্রামের আবু সাঈদ বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে প্রতিদিন হাটতে বের হই। কিন্তু এতোদিন এমন কুয়াশা চোখে পড়ে নাই। খুব কড়া ঠান্ডা পড়েছে। কুয়াশায় ১’শ মিটার সামনে থাকা কিছু দেখা যায় না।

আরেক পথচারী আবাসিক এলাকার রাফায়েদ সুজন বলেন, যে কুয়াশা আর ঠান্ডা পড়ছে তাতে মানুষের ভোগান্তি চরম আকারে বেড়ে গেছে। সব চেয়ে বেশি কষ্ট পোহাচ্ছে গরীব অসহায় মানুষ। তাই সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের উচিত তাদের দ্রুত শীতের কাপড় দেয়া।

এক বাস ড্রাইভার শাহানুর মুন্সী বলেন, কুয়াশার কারনে একেবারে স্লো গতিতে গাড়ি চালাতে হয়। লাইট জ্বালালেও সামনে কিছু দেখা যায় না। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে দ্বিগুণ সময় লেগে যাচ্ছে।

কৃষাণ রাধেশ্যাম বলেন, ভোর বেলা কাজের এসেছি, কিন্তু বেশি কুয়াশা পড়ায় কেউ কাজে নিতে আসে নাই। খুব চিন্তায় আছি। মোটা পোশাক কেনার টাকা নাই, তাই প্রচুর ঠান্ডার মধ্যেও পাতলা চাদর গায়ে দিয়ে কাজে বের হতে হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচ এম মাহবুব হোসেন জানান, ইতোমধ্যে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দ্রুতই গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হবে।

বার্তাবাজার/এম আই