কুমিল্লার মুরাদনগরে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ে ডিগ্রিধারী নারী শিক্ষকতা ছেড়ে হয়েছেন উদ্যোক্তা। বাসায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মানসম্মত কেকসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরী ও অনলাইনে বিক্রি করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন সানজিদা আফরিন রিমা নামের এক নারী। গত ৪বছরে তার কর্মদক্ষতায় উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন তিনি। কাজের শুরুতে অনেকটা কঠিন সময় পাড় করলেও দিন দিন কাজের দক্ষতার মাধ্যমে পরিচিতি অর্জন করেছে সে। উদ্যোক্তা সানজিদা আফরিন রিমা উপজেলা সদরের মোশাররফ হোসেন তামিমের স্ত্রী ও জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা গ্রামের শাহজাহান সরকারের মেয়ে।

জানা যায়, মুরাদনগর থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করার পর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) উত্তরা থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ের উপরে ডিগ্রি অর্জন করেন উদ্যোক্তা সানজিদা আফরিন। শুরুতে ঢাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভাবে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। করোনা মহামারীর শুরুতে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়েপড় সানজিদা মুরাদনগরে এসে বেকিং কার্যক্রম শুরু করেন। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাসায় মানসম্মত কেকসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরী ও আফরিন শপবিডি নামের একটি ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি শুরু করেন। মুরাদনগরে সামিরা বেকিংয়ের এরপর দ্বিতীয় নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সানজিদা মানসম্মত খাদ্য সামগ্রী তৈরীর মাধ্যমে ধীরে ধীরে তার কার্যক্রমের মাধ্যমে উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তার তৈরী সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে (কেক আইটেম) ভ্যানিলা কেক, চকলেট ময়েস্ট কেক, পানদান কেক, অরেঞ্জ কেক, লেমন, স্ট্রবেরি কেক, বাটারস্কচ ফ্লেভার কেক, হোয়াইট ফরেস্ট কেক, ব্লাক ফরেস্ট কেক, রেড ভেলভেট কেক। পিৎজা আইটেমে রয়েছে চিকেন চিজ পিৎজা, চিকেন সসেজ পিৎজা। মিষ্টি আইটেমের মধ্যে রয়েছে ছানার কাঁচা গোল্লা,
কাটারিভোগ, ক্রিমজাম, মালাইচপ মিষ্টি। এছাড়াও রয়েছে সুস্বাধু চিকেন মোমো। খাদ্য সামগ্রী তৈরী করেই থেমে থাকেননি সানজিদা, পাশাপাশি বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করতে ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরী করার লক্ষ্যে আগ্রহী নারীদের সুচারুভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন।

উদ্যোক্তা সানজিদা আফরিন রিমা বলেন, অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত ও ভেজাল মুক্ত এসব খাবার তৈরী এবং বিক্রি করে আমার সকল আর্থিক সংকট দূর
হয়েছে। এখন আমি একজন স্বাবলম্বী নারী উদ্যোক্তা। পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে আজ আমি এই অবস্থানে দাড়িয়েছি। আমার তৈরী করা খাবারে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক রং বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। আমি অনেক বড় বড় অর্ডার ভালোভাবে সরবরাহ করতে পেরেছি। সকলের দোয়ায় আরো সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের সমাজের অনেক নারীরা চাকরী খোঁজার পেছনে সময় নষ্ট না করে উদ্যোক্তা হলে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতো।

বার্তাবাজার/এম আই