আগাম টমেটো চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক রেজাউল। মাটির গুনগত মান অনেক ভালো হওয়ায় নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা ঝুঁকছেন কৃষি আবাদে। ধান উৎপাদনের থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফসলে লাভ বেশি। যার কারনে আগাম চাষ শুরু করেছেন টমেটো।

নন্দীগ্রাম উপজেলার মানুষের কাছে আগাম টমেটো চাষ যেন এখন ভাগ্য বদলের স্বপ্ন। শীতের মৌসুমে বাজারজাত করে অতিরিক্ত দাম পাওয়ার আশায় আগাম টমেটো চাষ কৃষকদের লালিত স্বপ্ন।

সারাদেশে এই টমেটোর কদরও রয়েছে বেশ। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দিলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে কৃষকরা। হারিয়ে ফেলে নিজেদের সর্বস্ব মুলধন। তারপরও অতি লাভের আশায় আগাম টমেটো চাষকে সাদরে বরণ করে নিচ্ছে তারা। উপজেলার ভাটগ্রাম, চাকলমা, বাদলাশন গ্রামসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে আগাম টমেটো চাষ করেছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা মেলে, টমেটো ক্ষেত চারদিকে প্লাস্টিকের কালো কাগজে মোড়ানো। মালচিং পদ্ধতিতে সারি সারি গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে টমেটো। প্রতিটি গাছের মাঝখানে দুই ফিটের দুরুত্ব। প্রতিটি গাছ মাটি থেকে চার থেকে পাঁচ ফিট উচু। দেখে মনে হবে এ যেন চাষিদের হাতে বুনা কারুকাজ।

বাদলাশন গ্রামের টমেটো চাষী রেজাউলের ফসলের মাঠে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ২৫ শতক জমিতে দুই মাস আগে ১ হাজার টমেটো চারা রোপন করি। ২৫শতক জমিতে এ প্রর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

প্রতিটি গাছে ১৪০-১৫০ পিচ করে টমেটো ধরেছে । বর্তমানে বাজারে ১৫০ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহ পর টমেটো তোলা শুরু হবে।যেভাবে টমেটো ধরেছে ২৫ শতক জমি থেকে ২৫০ মন টমেটো তুলতে পারবো। যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দেয় ২৫ শতক জমি থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার আগাম জাতের টমেটো বিক্রয় করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

রেজাউলের টমেটো চাষ দেখে অনেকেই এই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। তেমনি একজন ভাটগ্রামের চাষী গফফার বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছি। টমেটো অনেকটাই বাজারজাত করার উপযুক্ত। নতুন টমেটোতে আগ্রহ বেশি থাকে ক্রেতাদের। যার কারনে আগাম টমেটো বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার গাজিউল হক জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা টমেটো চাষে বেশ তৎপর। বিশেষ করে সবজি চাষে চাষিরা সাফল্য এনেছেন। আগাম টমেটো চাষে দিনদিন চাষীরা ঝুঁকছেন।

কৃষি অফিস থেকে চাষিদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ, সার সহ নানা কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি টমেটো চাষের জন্য সবধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। কৃষকদের সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।

বার্তাবাজার/এম আই