ডিগ্রি পরিবর্তন জনিত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এবার প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৬ মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বিভাগের প্রধান ফটকে এবং প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে-বাইরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীরা আটকা পরেন। তারা ডিগ্রি সমস্যার সমাধান চেয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে।

স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের বিভিন্ন কোর্সের সঙ্গে মিল থাকায় বিভাগের নাম অথবা ডিগ্রিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে কিন্তু চাকরি ক্ষেত্রে আবেদন করতে গেলে এই বিভাগের নাম খুজে পাওয়া যায় না। বিভাগটির নাম অপরিচিত বিধায় এবং নির্দিষ্ট বিষয় কোড না থাকায় বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

বিভাগের যে নির্দিষ্ট একটা কোড থাকে তা না থাকায় আমরা সরকারী চাকরীর কোথাও আবেদন করতে পারছি না।

আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে সমন্বয় করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করেছি। আশাকরি অতি শীঘ্রই বিএমএস বিভাগের ডিগ্রি পরিবর্তন সমস্যার সমাধান হবে।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে তাদের সাথে কথা বলে অতিদ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় ঘন্টা পর প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের তালা খুলে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলমান রাখে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ডিগ্রি জটিলতা সমাধান নিয়ে ১৭৬ দিন প্রায় ৬ মাস ধরে এ আন্দোলন করতেছে শিক্ষার্থীরা। ডিগ্রি ইতিহাসে না রাষ্ট্রবিজ্ঞানে হবে তা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরী হয়। পরবর্তী শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত মতের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান করার জন্য ইউজিসিতে আবেদন করা হলে শিক্ষকদের একাংশ তার বিরোধিতা করলে কার্যক্রম আবার পিছিয়ে পড়ে। এ নিয়ে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় আন্দোলন করে আসছে।

বার্তা বাজার/জে আই