ঢাকার কেরানীগঞ্জে ‘ছোট ভাই’ ডাকাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করেছে কিশোর গ্যাংয়ের এক লিডার।

আহতরা হলেন- মোহাম্মদ নাঈম (২০), মারুফ (১৭) ও মাসুম হোসেন (১৫)।

আহতদের মধ্যে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার তারানগর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কাঁঠালতলী গ্রামের রফিক হোসেনের ছেলে। এছাড়া আহত অপর দুজনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এঘটনায় হামলার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে কিশোর গ্যাং লিডার ও এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি তাকবির ও তার বাবা বিএনপি নেতা খুরশিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এ সময় হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

আহত মাসুমের মা রোজিনা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই নাঈম নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। নামাজ শেষে তাকবিরের বাবা খুরশেদ আমার ভাইকে ৪ দিন আগে ঘটে যাওয়া ঝগড়া নিয়ে নানা কথাবার্তা বলেন। এ সময় তার ছেলে তাকবির এসে আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় খুরশেদ তার ছেলেকে না ধরে আমার ভাইকে জড়িয়ে ধরে রাখে এবং এ সুযোগে তাকবির আমার ভাইয়ের বুকে, তলপেটে ও হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। খুরশেদ ও তার ছেলে আমার দুই ভাই ও ছেলেকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। আমরা এর বিচার চাই।’

নাঈমের মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ৪ দিন আগে একটি ওয়াজ মাহফিলে গেলে তাকবির, নাজিম ও সোহাগ ফোন দিয়ে আমার ছেলেকে কাঁঠালতলী স্ট্যান্ডে আসতে বলে। আসার পর তিনজন মিলে মারধর করে। এ সময় লোকজন চলে আসায় আমার ছেলে বেঁচে যায়। সে আক্রোশে গতকালও তারা বাপ-ছেলে মিলে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে।’

এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বার্তাবাজার/এম আই